সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান
Published: 14th, January 2025 GMT
মহাসড়কের চাঁদাবাজি বন্ধে ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে না লক্ষ্যে অবৈধ যানবাহন আটক ও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালায় হাইওয়ে পুলিশ।
এ সময় মহাসড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও ২৫টি বিভিন্ন যানবাহন আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যার মধ্যে ফিটনেস বিহীন যানবাহনসহ অযান্ত্রিক যান রয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ওয়াহিদ মোরশেদ ও শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু নাঈম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন, মহাসড়কের সুশৃংখলাতা ফিরিয়ে আনতে অযান্ত্রিক যান ও অবৈধ যানবাহন এবং ফুটপাট দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের এই অভিযান ১৫ দিন চলমান থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।