ঢাবিতে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা শুরু
Published: 14th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের হলগুলো পৃথকভাবে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও স্পোর্টস বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
ভলিবল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা আল মামুন বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পৃথক প্রতিযোগিতায় ছাত্রদের ১৩টি হল এবং ছাত্রীদের পাঁচটি হল অংশ নিচ্ছে। রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে ছাত্রদের গ্রুপে প্রতিটি হল প্রথম পর্বে দুইটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেরা আটটি হল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। বিজয়ীদলগুলো নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি সেমিফাইনাল ও আগামী ৩০ জানুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রীদের গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ নির্ধারিত হবে। ছাত্রীদের প্রতিযোগিতায়ও প্রতিটি হল দুইটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিটি ম্যাচ রোটেশন পদ্ধতিতে এবং তিনটি সেটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।
উদ্বোধনী দিনে ছাত্রদের দুইটি ও ছাত্রীদের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদের প্রথম ম্যাচে কবি জসীম উদ্দীন হলকে ২-০ সেটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। দ্বিতীয় ম্যাচে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলকে ২-০ সেটে হারিয়ে বিজয়ী হয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
অন্যদিকে, ছাত্রীদের ম্যাচে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলকে ২-০ সেটে হারিয়ে শামসুন নাহার হল বিজয়ী হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’