বন্দরে দাওয়াতুল কোরআন প্রি-ক্যাডেট মাদরাসার উদ্বোধন ও নবীনবরণ উপলক্ষ্যে দোয়া
Published: 14th, January 2025 GMT
বন্দরে দাওয়াতুল কোরআন প্রি-ক্যাডেট মাদরাসার শুভ উদ্বোধন ও নবীনবরণ উপলক্ষ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বন্দর রূপালী আবাসিক এলাকাস্থ মাদরাসার হলরুমে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়ানুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ সাব্বির হোসেন। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মুফতি আব্দুল্লাহ আল আনসারী।
বন্দর থানা যুবদল নেতা হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,স্কলার্স বাংলাদেশ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী,এম নিউজ বিডি ২৪ ডটকম’র সিইও মিতু মোর্শেদ,ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ মাসুম ও বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের আরবী শিক্ষক মাওলানা মোঃ আল আমিন। এইচ ডি হৃদয়ের সঞ্চালনায় দোয়ানুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও মোহতামিম মাওলানা মোঃ আব্দুল আজিজ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক আমির হামজা,প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সাইদুল ইসলাম,রোমানা আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি আব্দুল্লাহ আল আনসারি বলেন,এই জমিনে যতদিন পর্যন্ত একজন ঈমানদার বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত এই দুনিয়া ধ্বংস হবে না। মহান আল্লাহ আমার নবী করিম সাল্লালাহু আলাইহি আসসালামকে কখন পাঠিয়েছেন যখন আই অ্যাম-এ জাহেলিয়াতের যুগ চলছিল। সেই সময় আমার নবী রাসুলকে কেন পাঠিয়েছেন?
নবীদের শ্রেষ্ঠ নবীকে এ কারণে পাঠিয়েছেন যাতে শ্রেষ্ঠ খারাপ লোকদেরকে তিনি ভাল করতে পারেন এবং তিনি তাদেরকে ভাল করেছেনও।
কাজেই ইসলাম ধর্ম অনেক গভীর ধর্ম। এই ধর্ম মানুষকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারে। সন্তান মাদরাসায় পড়ালেখা করে অনেকে পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করেন। এটা আপনাদের ভ্রান্ত চিন্তা-ভাবনা। বরং মাদরাসায় পড়িয়ে আপনি গর্ব করে বলবেন আপনার সন্তান মাদরাসায় পড়েন।
এজন্য বলবেন কারণ মাদরাসায় পড়ে আপনার সন্তান মানুষ ছাড়া অমানুষ হবে না। মাদরাসায় পড়লে আপনার সন্তান মাদকসেবী হবেনা,গুন্ডা হবে না,চাঁদাবাজ হবে না।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
ইজতেমায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয়, সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসলমানসহ সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রতি বছর ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য দেশি-বিদেশি মুসল্লির আগমন ঘটে।
এ বছর তিন ধাপে ৩ দিন করে ইজতেমা মোট ৯ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় ধাপে ৩-৫ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় ধাপে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিশ্চিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র্যাব ফোর্সেস অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব জানায়, সামগ্রিকভাবে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর, র্যাব-১ সহ ঢাকাস্থ ৫টি ব্যাটালিয়ন আগামী ৩০ জানুয়ারি হতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি হতে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব সদর দপ্তর হতে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।
ইজতেমা মাঠ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ইউনিফর্মে টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুইপিং টিম দ্বারা তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র্যাবের স্পেশাল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে উঁচু ভবনসমূহে বাইনোকুলারসহ র্যাব সদস্য নিয়োগ এবং র্যাবের অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, র্যাব কর্তৃক ইজতেমাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে সমগ্র ইজতেমা এলাকা মনিটরিং করা হচ্ছে। নৌ-পথে যে কোনো বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধকল্পে চলমান টহলের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নৌ-টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে তিন ধাপে আয়োজিত ইজতেমা মধ্যবর্তী সময়ে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইজতেমা এলাকার আশপাশে উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকসেবন, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপার্টি ইত্যাদির দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে।
মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিং এলাকাসহ ইজতেমা এলাকায় অবৈধ টোল বা চাঁদা আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সম্মুখে এবং আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ইজতেমা এলাকায় র্যাবের চিকিৎসাকেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিকভাবে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিনে আগত ও ঘরমুখী মুসল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য র্যাবের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা চলমান থাকবে। বিশ্ব ইজতেমা কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্মবিরোধী অপপ্রচার/গুজব রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোনো ব্যক্তি/স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা/অপপ্রচার কঠোরহস্তে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
এ ছাড়াও যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে র্যাবের সহযোগিতা পেতে টহল ইনচার্জ অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব ব্যাটালিয়নকে অবহিত করণসহ র্যাবকে (র্যাব কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বরে মোবাইল: ০১৭৭৭৭২০০২৯) জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ