লিওনেল মেসির প্রাণের ক্লাব বার্সেলোনা। এমনকি বার্সাও বহুবার জানিয়েছে, ক্যাম্প ন্যুর দরজা মেসির জন্য সব সময় খোলা। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই খোলা দরজায় পা রাখতে পারেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সেটাও যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য ধরেই। সংবাদমাধ্যম এল ন্যাশিওনাল দিয়েছে এমনই খবর।
ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তি আছে ২০২৫ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে যোগ দেওয়ার সময় এক বছর চুক্তি নবায়নের শর্তও রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মেজর লিগের মৌসুম ছোট হওয়ায় আসন্ন মৌসুম শেষে ফিট ও ফর্মে থাকতে বার্সায় যোগ দিতে পারেন কাতার বিশ্বকাপ ও পর পর দুই কোপা আমেরিকাজয়ী মেসি।
বিষয়টি আরেকটু খুলে বললে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে অক্টোবরের শেষদিকে শেষ হয়। আগামী অক্টোবরে লিগ মৌসুম শেষে তাই ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির। এদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেও বিশ্বকাপের বছর চার মাস বসে কাটাতে হতে পারে মেসির। এতে করে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেললেও সেরাটা দিতে সমস্যা হতে পারে সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকার।
যে কারণে আগামী অক্টোবরে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়া মেসি ধারে বার্সার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করতে পারেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় চুক্তি করতে পারেন ডেভিড বেকহামের ক্লাবে। যদিও বিষয়টি বলার মতো সহজ নয়।
তবে আগে ফ্রান্স কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি ও আয়ারল্যান্ড স্ট্রাইকার রব কি’ এমনটা করেছিলেন। তারা এমএসএলে খেললেও অঁরি আর্সেনালে ও রব কি’ অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করেছিলেন। বিশ্বকাপ খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে মেসিও নিতে পারেন এমন কোনো সুযোগ। এমনকি সেটা বার্সেলোনা না হয়ে অন্য কোনো ক্লাবও হতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার চাঁদ দেখলে কী দোয়া পড়বেন
রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে; বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পড়া সেই দোয়া পড়বেন। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে। হাদিসে আছে-হজরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবিদের চাঁদ দেখতে বলতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবী (সা.) কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
আরও পড়ুনইফতারের দোয়া২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নতুন চাঁদকে আরবিতে বলে ‘হিলাল’। ‘হিলাল’ হচ্ছে এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’ যে সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা যায়, সে রাত হলো ‘চাঁদরাত’। আরবি চান্দ্র বছরের নবম মাস রমজান এবং দশম মাস শাওয়াল।
যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, এমনকি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া একটিই। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখলে এই দোয়া পড়তেন—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন।আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)
এ ছাড়াও রমজানের চাঁদ দেখার খবর শুনে দোয়া করা হয়।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লিরমাদান, ওয়া সাল্লিম রামাদানা লি, ওয়া তাসলিমাহু মিন্নি মুতাক্বাব্বিলা। (তাবারানি)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমজান দান করুন। রমজানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। রমজানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।
আরও পড়ুনরোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া কী০২ মার্চ ২০২৪