Risingbd:
2025-01-31@14:52:06 GMT

সৃজিত-ঋতাভরী কেন আলোচনায়?

Published: 14th, January 2025 GMT

সৃজিত-ঋতাভরী কেন আলোচনায়?

ভারতীয় বাংলা সিনেমার পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। একই ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে ঘিরে খবরের শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার বর সৃজিত। দুই বাংলার গণমাধ্যমে একযোগে তাদের নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

মূলত, সৃজিত মুখার্জি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গতকাল একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, সৃজিতের বুকে মাথা রেখে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন ঋতাভরী। ছবিটির ক্যাপশনে ‘অটোগ্রাফ’খ্যাত এই নির্মাতা লেখেন— “জমাখরচ হিসেবনিকেশ, কোথায় শুরু, কোথায় বা শেষ, কেমন আছো? অনেক বছর পেরিয়ে এলাম, হঠাৎ তোমার দেখা পেলাম, কেমন আছো?”

এরপর থেকে চর্চায় পরিণত হয়েছেন সৃজিত-ঋতাভরী। কিন্তু একজন নির্মাতার সঙ্গে জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী এভাবে ছবি তুলতেই পারেন! তবু কেন চর্চাটা জোরালো হয়েছে সেটাই মূল প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েক বছর পেছনে যেতে হবে। কারণ আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই জুটি। দুই প্রাক্তন মুখোমুখি হয়ে পাতাঢাকা গল্প বাইরে টেনে বের করেছেন তারা।

আরো পড়ুন:

পাঁজরের হাড় ভেঙেছে বাসন্তী চ্যাটার্জির, পাশে নেই পরিবার

‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’

২০১৭ সালে সৃজিত ও ঋতাভরী আচমকাই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সেই সময় পরিচালক ব্যস্ত ছিলেন ‘কাকাবাবু’ সিনেমার শুটিং নিয়ে। আর শুটিংয়ের ফাঁকেই ঋতাভরীর সঙ্গে লাঞ্চ কিংবা ডিনার ডেটে দেখা যেত। হোয়াসঅ্যাপেও দীর্ঘ সময় চ্যাট করতেন। শুধু তাই নয়, সেই সময় ঋতাভরী প্রায়ই মুম্বাই যেতেন শুটের কাজে। বিমানবন্দর থেকে আনতে যেতেও দেখা গেছে এই পরিচালককে।

একই বছর ঋতাভরীর জন্মদিনের পার্টিতেও উপস্থিতি ছিলেন সৃজিত। প্রিয় মানুষকে কেক খাওয়ানো থেকে একসঙ্গে ছবি তোলা— সবই তারা সকলের সামনে করেছেন। টলিপাড়ায় গুঞ্জন চাউর হয়েছিল সৃজিতের ঘরণী হতে যাচ্ছেন ঋতাভরী। সৃজিতের সঙ্গে ঋতাভরীর পরিচয় ‘চতুষ্কোণ’ সিনেমা থেকে। এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেছিলেন— “গত তিন বছরে ভালোবাসার চেয়ে সৃজিতের সঙ্গে ঝগড়া বেশি করেছি।”

সবকিছু মিলিয়ে সৃজিত-ঋতাভরীর প্রেমের রসায়ন সবারই দৃষ্টি কেড়েছিল। যদিও সৃজিত এ সম্পর্ক নিয়ে কখনো খোলামেলা আলোচনা করেননি। বরং সম্পর্কটাকে গোপন রেখেছিলেন। সৃজিত আড়াল করলেও ঋতাভরী এই পরিচালকের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্নও সাজিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রেম আকস্মিকভাবে ভেঙে যায়।

এরপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। ২০১৯ সালে মিথিলাকে বিয়ে করে সংসারী হন সৃজিত। আর ঋতাভরী মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু এ সম্পর্কও টিকেনি। বর্তমানে ‘জওয়ান’ সিনেমার সংলাপ রচয়িতা সুমিত আরোরার সঙ্গে প্রেম করছেন ঋতাভরী। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে বিয়েও করবেন তারা। এরই মাঝে পুরোনো প্রেম ছাইচাপা আগুনের মতো জ্বলে উঠেছে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আজতাক

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে নেই কেউ

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর উড়োজাহাজ ও  হেলিকপ্টার নদীতে বিধ্বস্ত হয়। 

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চার ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন। এ ঘটনায় আর কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন একজন দমকলকর্মী। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি কানসাস থেকে রওনা হয়েছিল বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার রাতে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এর পর উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি হিমশীতল পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

দমকল বাহিনীর প্রধান জন ডনেলি জানান, মাঝ আকাশে মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওয়াশিংটন ডিসির পটোম্যাক নদীতে আছড়ে পড়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ‘আরোহীরা সম্ভবত কেউই বেঁচে নেই’। তিনি এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। 

দুর্ঘটনায় সম্ভাব্য ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে একসঙ্গে হারানো সত্যিই খুব কঠিন। যখন একজনের মৃত্যু হয়, তখন তা কষ্টদায়ক, কিন্তু যখন অনেক অনেক মানুষ মারা যান, তখন সেই দুঃখ সওয়া যায় না। এটা অনেক বেশি হৃদয়বিদারক। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর রিগ্যান বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন কানসাসের সিনেটর রজার মার্শাল।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট টাস্কফোর্স-ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনের গণমাধ্যমবিষয়ক প্রধান হেদার চাইরেজ সিবিএস নিউজকে বলেন, সামরিক হেলিকপ্টারটির প্রশিক্ষণ ফ্লাইট ছিল।

যাত্রীবাহী বিমানটিতে একাধিক আইস স্কেটার, তাদের পরিবারের সদস্য ও কোচরা উইচিটার এক ক্যাম্প থেকে ফিরছিলেন। তাদের মধ্যে রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইয়েভগেনিয়া শিশকোভা ও ভাদিম নৌমভও ছিলেন।

এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ডুবুরি দল উড়োজাহাজটির দুটি ডেটা রেকর্ডারের একটি উদ্ধার করেছে।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়ানো ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের বেতার বার্তা থেকে জানা গেছে, হেলিকপ্টারটির পথে যে উড়োজাহাজটি ছিল, তা হেলিকপ্টারের ক্রুরা জানতেন। পরে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হেলিকপ্টার ক্রু এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, দেখে মনে হচ্ছে, এটা ঠেকানো যেত। ভালো হলো না।

ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে স্বজনের ভিড় জমেছে। তারা বলেছেন, ঘটনাটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাননি। বরং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকেই বেশি তথ্য পাচ্ছেন তারা।

গত প্রায় ১৬ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। নিউজউইক জানায়, এর আগে সর্বশেষ সবচেয়ে বড়  উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর এই নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিন্থ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই ঘটনায় ৭০ যাত্রী এবং ৪ ক্রু নিহত হন। শুধু চার যাত্রী এবং একজন ক্রু বেঁচে গিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে মেলায় আসিফ ইকবালের বই
  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’
  • ‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’
  • অনুষ্ঠানে প্রবেশে নারী সাংবাদিককে ‘বাধা’, যা হয়েছিল সেদিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে নেই কেউ