Risingbd:
2025-01-31@12:04:24 GMT

দুই বাঘাইড়ের দাম ৩ লাখ টাকা

Published: 14th, January 2025 GMT

দুই বাঘাইড়ের দাম ৩ লাখ টাকা

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছ মেলা’। পৌষ সংক্রান্তিতে এই মেলার আয়োজন এখানে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। প্রতি বছরের মতো এবারও পইল গ্রামের ঈদগাহের পাশে বসেছে মেলা। এবারের মেলায়  মুদ্দত আলী ও ইমরান মিয়া নামে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী দুটি বাঘাইড় মাছ এনেছেন। তারা মাছ দুটির দাম চেয়েছেন তিন লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল পইল মেলায় কথা হয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বাসিন্দা ইমরান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, মাছটি নদীর। জেলেদেরর কাছ থেকে কিনে মাছটি মেলায় এনেছেন তিনি। বিশাল এ মাছটির দাম চাচ্ছেন দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম বলছেন। কিছু লাভে মাছটি বিক্রি করে দেবেন বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন: পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

আরো পড়ুন:

পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

শতবর্ষী মাছের মেলা, কোটি টাকা বিক্রির আশা

মাছটি কতো টাকায় কিনেছেন জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি এই বিক্রেতা।

ইমরানের পাশেই মাছ নিয়ে বসেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মুদ্দত আলী। তিনি জানান, মেঘনা নদীতে ধরা পড়া ৩০ কেজির ওজনের বাঘাইড় নিয়ে তিনি এসেছেন মেলায় বিক্রির জন্য। তিনিও তার কাছে থাকা মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা।

সাংবাদিক বদরুল আলম বলেন, “পৌষ সংক্রান্তি এই মেলা প্রায় ২০০ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মিঠা পানির বাঘাইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছেরও। বাঘাইড় ছাড়াও মেলায় বিশালাকৃতির বোয়াল ও কাতল মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছ দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।”

জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, “প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা আসেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, পইল মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। মেলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা চলছে।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ