Risingbd:
2025-03-03@14:25:55 GMT

দুই বাঘাইড়ের দাম ৩ লাখ টাকা

Published: 14th, January 2025 GMT

দুই বাঘাইড়ের দাম ৩ লাখ টাকা

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছ মেলা’। পৌষ সংক্রান্তিতে এই মেলার আয়োজন এখানে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। প্রতি বছরের মতো এবারও পইল গ্রামের ঈদগাহের পাশে বসেছে মেলা। এবারের মেলায়  মুদ্দত আলী ও ইমরান মিয়া নামে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী দুটি বাঘাইড় মাছ এনেছেন। তারা মাছ দুটির দাম চেয়েছেন তিন লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল পইল মেলায় কথা হয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বাসিন্দা ইমরান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, মাছটি নদীর। জেলেদেরর কাছ থেকে কিনে মাছটি মেলায় এনেছেন তিনি। বিশাল এ মাছটির দাম চাচ্ছেন দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম বলছেন। কিছু লাভে মাছটি বিক্রি করে দেবেন বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন: পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

আরো পড়ুন:

পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

শতবর্ষী মাছের মেলা, কোটি টাকা বিক্রির আশা

মাছটি কতো টাকায় কিনেছেন জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি এই বিক্রেতা।

ইমরানের পাশেই মাছ নিয়ে বসেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মুদ্দত আলী। তিনি জানান, মেঘনা নদীতে ধরা পড়া ৩০ কেজির ওজনের বাঘাইড় নিয়ে তিনি এসেছেন মেলায় বিক্রির জন্য। তিনিও তার কাছে থাকা মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা।

সাংবাদিক বদরুল আলম বলেন, “পৌষ সংক্রান্তি এই মেলা প্রায় ২০০ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মিঠা পানির বাঘাইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছেরও। বাঘাইড় ছাড়াও মেলায় বিশালাকৃতির বোয়াল ও কাতল মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছ দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।”

জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, “প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা আসেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, পইল মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। মেলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা চলছে।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ