জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এটি কার্যকর হবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ১৮৫ রোগীর মৃত্যু

ঈদের ছুটির আট দিনে বরিশাল শের-ই-বংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুসহ বিভিন্ন কারণে ১৮৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ১ হাজার ৮৫০ জন রোগী ভর্তি আছে। ঈদের ছুটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স সংকটে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাননি বলে কয়েকজন রোগীর স্বজন অভিযোগ করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ এ হাসপাতলে ২১ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এ দিন এ হাসপাতালে ১ হাজার ৭৯৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। ওই দিন নতুন করে ৪০৫ জন রোগী ভর্তি হয়। তবে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যায় ৩৬৪ জন।

একইভাবে ঈদের দিন ৩১ মার্চ এখানে মৃত্যু হয় ১৯ জন রোগীর। এ দিন এ হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৪৬ জন। ঈদের পরের দিন ১ এপ্রিল মৃত্যু হয় ১৮ জনের। নতুন করে ভর্তি হয় ৫৯৪ জন রোগী।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 

গোপালগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১২ জনের হেলথ কার্ড প্রদান

২ এপ্রিল মৃত্যু হয় সর্বাধিক ২৮ জন রোগীর। এ দিন এ হাসপাতালে ভর্তি হয় সর্বাধিক ৭০০ রোগী। ৩ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৩ জনের। এ দিন এখানে নতুন করে ভর্তি হয় ৫৮৯ জন।

৪ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৮ জন রোগীর। নতুন করে ভর্তি হয় ৫১১ জন। ৫ এপ্রিল মৃত্যু হয় ২৫ জন রোগীর। নতুন করে ভর্তি হয় ৬৭৪ জন। এ দিন এ হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ছিল ১ হাজার ৭৯৯ জন। একইভাবে ৬ এপ্রিল মারা গেছে ২৩ জন রোগী।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঈদের সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রায় ২ হাজার রোগীর চিকিৎসার জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ঈদের ছুটির সময় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও চিকিৎসা সেবায় ত্রুটি হয়নি বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন রোগীর মুত্যু হয় বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে বরিশাল শের ই-বাঙলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহামুদ হাসান জানান, এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা আরো বেশি হয়।

তিনি আরো জানান, ঈদের সময় যারা একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। কম অসুস্থরা ভর্তি হয় না। ছুটির দিনগুলোতে যে মৃত্যু হয়েছে, এটি স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ