জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক রুপরেখা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ইবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে টিএসসিসির ১১৬ নম্বর কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

ওবায়দুল ইসলাম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাত প্রমুখ।

বৈঠকে আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা ইকসুর সুফল ও গঠন  সম্পর্কে আলোচনা করে। এ সময় তারা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের জোর দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন এমন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত করার দাবি জানিয়ে বৈঠকে বক্তারা বলেন, ইকসু গঠনে আইনি কোনো বাঁধা নেই। এটা শুধু কালক্ষেপণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শিক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংস্কার করা যায়। এছাড়া ইকসুর নেতারা কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে না বলে দাবি করেন প্রতিনিধিরা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

টিউশন শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শাকিলকে উদ্ধার করেন। এসময় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আমরা জানতে পারি সবুজকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আটকে রেখে টাকা দাবি করছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজের মাধ্যমে ফোন দিচ্ছে। তারপর আমরা ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ ভাইকে জানালে ওনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর থেকেই পুলিশ সবুজের লোকেশন ট্রেস করতেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা পর একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে সবুজকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান বলেন, সবুজের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাঈদ আমাকে অবগত করে। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালিকে ফোন দিয়ে তা জানানো হয়। আমাদের মহানগর কমিটির একটি টিম কান্দিরপাড় অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সবুজের লোকেশন শনাক্ত করা হয়। পুলিশ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ কাজেম স্যার, বৈবিছা-র সদস্যবৃন্দ, সবুজের সিনিয়র-জুনিয়র-ব্যাচমেট সবার তৎপরতায় আনুমানিক রাত ৩টায় সবুজকে উদ্ধার করতে আমরা সমর্থ হই।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন থেকে পাঁচজনের একটি চক্র শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার খবরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক
  • কেউ বললেই যেন আমরা বিদেশে দৌড় না দেই : শামীম আজাদ
  • ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে কালও