বায়ুদূষণ রোধে অভিযান: জরিমানা ২৪ লাখ টাকা, ৯ ভাটা বন্ধ
Published: 14th, January 2025 GMT
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশজুড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রংপুর, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম জেলায় ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ১৩টি মামলার মাধ্যমে ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস এবং ৭টি ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী মুগদা, ধানমন্ডি, শাহআলী (ঢাকা) এবং রংপুরে ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৮টি মামলায় ৯২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি যানবাহনের চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফরিদপুর জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ২টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ৮২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। ২টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পরিবেশ আইনে শাহ সিমেন্টকে ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ: যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুদূষণ রোধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত নই’ দাবি বিএনপি নেতার
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমি কোনোভাবেই দায়ী নই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতব্বর সাংবাদিকদের এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে আমার নামে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সংবাদে আমার নেতৃত্বে ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের আরও দাবি করেন, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেয় দুর্বিত্তরা।
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয়ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যান।