পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশজুড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রংপুর, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম জেলায় ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ১৩টি মামলার মাধ্যমে ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস এবং ৭টি ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী মুগদা, ধানমন্ডি, শাহআলী (ঢাকা) এবং রংপুরে ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৮টি মামলায় ৯২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি যানবাহনের চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফরিদপুর জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ২টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ৮২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। ২টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পরিবেশ আইনে শাহ সিমেন্টকে ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ: যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুদূষণ রোধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি

কানাডায় জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে পরাজিত করে টানা চতুর্থবার জয়ী হয়েছে লিবারেল পার্টি। একই সঙ্গে আবারো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ এই তথ্য জানা গেছে।

কানাডার জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা সিবিসি এবং সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, সোমবার রাতে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী হাউজ অব কমন্সে ৩৪৩টি আসনের মধ্যে অধিকাংশেই জয়ের মুখ দেখেছে কার্নির লিবারেল পার্টি। তবে সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পেরেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। ৩৪৩টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ১৭২টি আসন নিশ্চিত করতে হবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে সরকার গঠনে লিবারেল পার্টিকে কোনো ছোট দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।

সর্বশেষ ভোট গণনার তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৬৭ আসন এবং কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১৪৫ আসন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডার অর্থনীতিতে আক্রমণ করা এবং এর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার আগে লিবারেল পার্টি একটি বিপর্যয়কর পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে দাবার গুটি পাল্টে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।

তিনি কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার কথা বলেছেন, যা দেশটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে কানাডিয়ানদের। একই সঙ্গে লিবারেলদের চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় জেতার পথ সহজ করেছেন।

মার্ক কার্নি, যিনি রাজনীতিতে একটি নতুন মুখ, তিনি আগে কখনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে কাজ করার পর, তিনি গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই নির্বাচনে তার নেতৃত্বে লিবারেল পার্টির অগ্রগতি এবং ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রমাণ করেছে যে কানাডার জনগণ তাদের স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ