আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার ড্যান প্যাটারসনকে।
অস্ট্রেলিয়া সফরে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন বুমরাহ। ডিসেম্বর মাসে তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। গড় ছিল ১৪.
অ্যাডিলেড টেস্টে বুমরাহ নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এরপর ব্রিসবেন ও মেলবোর্ন টেস্টে নিয়েছিলেন ৯টি করে উইকেট। এই সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে মাসসেরা হওয়ার আগের ভারতের খেলোয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং পেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বলের হিসেবে চতুর্থ দ্রুততম ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের সময়সূচি
লিগ বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বিসিবিকে আল্টিমেটাম, ফাহিমের পদত্যাগ দাবি
বুমরাহর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে। তাতে দীর্ঘ ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ৩-১ ব্যবধানে জিতে অজিরা। কামিন্স ডিসেম্বরে ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট, গড় ১৭.৬৪। অ্যাডিলেডে টেস্টে করেছিলেন সেরা বোলিং পারফরম্যান্স, ৫৭ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভর করে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১০ উইকেটের বড় জয়। এছাড়া মেলবোর্ন টেস্টে ব্যাট হাতে দুই ম্যাচে করেছিলেন ৪৯ ও ৪১ রান। আর উইকেট নিয়েছিলেন ৬টি।
আর ড্যান প্যাটারসন ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। দুই টেস্টে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট, গড় ছিল ১৬.৯২।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম পর্ব শেষের পথে, প্লে-অফের লড়াই জমে উঠেছে। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করলেও, বাকি দুটি দল এখনো নির্ধারিত হয়নি। দুর্বার রাজশাহী শেষ মুহূর্তে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে সমীকরণ জটিল করে তুলেছে, বিপাকে পড়েছে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংস।
প্রথম পর্বের বাকি ছয় ম্যাচের পারফরম্যান্সই ঠিক করবে প্লে-অফে কারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিটকে গেলেও, বাকি চার দল এখনো দৌড়ে টিকে আছে।
প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাইবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। কারণ কোয়ালিফায়ার খেলতে পারলে আরও একটি সুযোগ পাবে তারা। এক্ষেত্রে চিটাগং কিংস অন্তত একটি ম্যাচ হারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
দুর্বার রাজশাহীর সব ম্যাচ শেষ। খুলনা টাইগার্স দুটি ম্যাচের একটি হারলে রাজশাহী নিশ্চিতভাবেই প্লে-অফে যাবে। যদি খুলনা দুটি ম্যাচ জিতে, তাহলে নেট রান রেটের হিসাব চলে আসবে। এছাড়া চিটাগং কিংস তাদের তিন ম্যাচ হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে রাজশাহীর। তবে যদি চিটাগং একটি ও খুলনা দুটি ম্যাচ জেতে, তাহলে তিন দলের মধ্যে নেট রান রেটের হিসাব আসবে।
চিটাগং কিংসের বাকি খেলাগুলো হবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সবকটি জিতলে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। দুই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে যাবে। একটি জয় পেলেও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গে নেট রান রেটের লড়াইয়ে পড়তে হবে। তিন ম্যাচ হারলেও খুলনা টাইগার্সের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলবে খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে, তবে চিটাগং কিংসের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিটাগং তিন ম্যাচ হারলে এক জয়েও খুলনা প্লে-অফে যেতে পারে, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। দুই ম্যাচ জিতলেও রাজশাহীর সঙ্গে নেট রান রেটের সমীকরণে যেতে হবে।
প্লে-অফে খেলতে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। তারা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। চিটাগং আর একটি কিংবা খুলনা দুটি ম্যাচ জিতলেই বাদ ঢাকা।
শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে কোন দুই দল জায়গা পাবে প্লে-অফে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ছয় ম্যাচের ফলাফলের জন্য।