বার্নিনাল ট্যালেন্টসে বাংলাদেশের মাকসুদ
Published: 14th, January 2025 GMT
বার্নিনাল ট্যালেন্টসে জায়গা পেলেন বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা মাকসুদ হোসাইন। বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বার্নিনাল ট্যালেন্টস। এখানে বিশ্বের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রগ্রাহক ও কলাকুশলী যাঁরা নিজস্ব ক্ষেত্রে ভালো করছেন, তাঁদের তুলে ধরা হয়।
বার্নিনাল ট্যালেন্টসে বিশ্বের ১২৩টি দেশের ২০১ জন তরুণ অংশগ্রহণ করবেন। ৩ হাজার ৮৩৬টি আবেদনের মধ্য থেকে তাঁদের বেছে নেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই তরুণেরা বার্লিন উৎসব চলার সময় সব সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে ছয় দিনের কর্মশালায় নানা বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে জানার সুযোগ পাবেন, তৈরি হবে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক।
তরুণদের মধ্যে এ বছর বাংলাদেশ থেকে একমাত্র মাকসুদ জায়গা পেয়েছেন। তিনি বিজ্ঞাপনচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন দীর্ঘদিন। পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার হিসেবেও তাঁর পরিচিতি আছে। মাকসুদের প্রথম সিনেমা সাবা। গত বছর এটি কানাডার টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডিসকভারি প্রোগ্রামে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। পরে বুসান, রেড সিসহ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে প্রশংসিত হয়।
বার্নিনাল ট্যালেন্টসে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খবরে মাকসুদ বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। কারণ, এখানে আবেদন করলেই হয় না। নির্মাতা হিসেবে সিনেমা নিয়ে কী ধরনের কাজ করেছি, সেটাও বিবেচনায় রাখে। যাচাই-বাছাই করে জায়গা দেয়। এখানে সিনেমাসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যেমন জানার সুযোগ হবে, তেমনি বিশ্বের নানা দেশের তরুণ মেধাবীদের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কথা বলার সুযোগ হবে। তৈরি হবে বড় নেটওয়ার্ক। এই অভিজ্ঞতাকে পরবর্তী প্রজেক্টে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেয় আয়োজনটি।’
মাকসুদ জানান, ২৪ জানুয়ারি গোথেনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবে সাবার ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার। সেখান থেকে বার্লিন উৎসবে অংশ নেবেন তিনি। ১৩ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বার্লিন উৎসব।
বর্তমানে পরবর্তী সিনেমা ‘বেবিমুন’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত মাকসুদ হোসাইন। এ বছরের শেষের দিকে সিনেমাটির শুটিং করতে চান। বার্নিনাল ট্যালেন্টসে বাংলাদেশ থেকে এর আগে জায়গা পেয়েছিলেন নার্গিস আক্তার, কামার আহমাদ সাইমন, রুবাইয়াত হোসেন, নুহাশ হুমায়ূন, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন পলাশ, চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতি প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব
রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ সময় ঐতিহ্যবাহী বাঁশি ও বাদ্য বাজানো হয়। পরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন উপদেষ্টারা।
মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ী কৃতি ফুটবলার পার্বত্য চট্টগ্রামের ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা ও মনিকা চাকমা, আন্তর্জাতিক ফুটবল রেফারি জয়া চাকমা, জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা এবং ট্রায়াথলেট (আয়রনম্যান) রাজেশ চাকমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বরেন লাল ত্রিপুরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. রাশিদা ফেরদৌস।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা। এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম. খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ মেলায় ৮৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকছে পার্বত্য তিন জেলার ঐতিহ্যবাহী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকা/হাসান/রফিক