কোহলিকে কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ বাদ দেওয়ার পরামর্শ চ্যাপেলের
Published: 14th, January 2025 GMT
বিরাট কোহলির ক্যারিয়ারে যখনই বাজে সময় এসেছে, তাঁর পক্ষ নিয়েছেন ইয়ান চ্যাপেল। দুঃসময় পার করতে থাকা কোহলি এবারও পাশে পাচ্ছেন চ্যাপেলকে।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, কোহলি যদি শিগগিরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তাহলে তা ভারতীয় ক্রিকেটে শূন্যতা সৃষ্টি করবে। তাঁর অভাব ইংল্যান্ড সফরে ভারতকে কঠিন পরীক্ষায়ও ফেলবে। তাই কোহলিকে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়িয়ে খেলায় মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ৮১ বছর বয়সী চ্যাপেল।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৫ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা চ্যাপেল কেন কোহলিকে এমন পরামর্শ দিলেন, তা সবার জানা। ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই; কিন্তু প্রতিপক্ষের সঙ্গে লেগে যেতে কিংবা বিতর্কের জন্ম দিতে পিছপা হননি—সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে কোহলিকে বেশির ভাগ মানুষ নিশ্চয়ই এভাবেই মনে রাখবেন।
সেই দৃশ্য—কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা কোহলির.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাফিয়া বসদের মতো’ আচরণ করেছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা বৈশ্বিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে ইউরোপের গণমাধ্যমেও।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রধান সংবাদ এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক। জেলেনস্কির প্রতি ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করে ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ওভাল অফিসে রাষ্ট্রনায়কের মতো আচরণ করেননি, বরং ‘মাফিয়া বসদের’ মতো আচরণ করেছেন।
ফরাসি দৈনিক লে ফিগারো ট্রাম্পকে একজন রুশ শাসকের সঙ্গে তুলনা করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘আমেরিকাতে এখন একজন জারের খেলা খেলছেন, যিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলেছেন এবং পশ্চিমাদের পতন চান।’ ফরাসি দৈনিকটি আরও বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী শাসনামল সম্পর্কে এখান থেকে ধারণা পাওয়া যায়।
যুক্তরাজে্যর সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বলেছে, ‘পশ্চিমা ঐক্য অপরিহার্য বলেই মনে হচ্ছে।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, এই উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ব্রিটেন এবং ইউরোপের যে কেউ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে।
ইতালির সংবাদপত্র কোরিয়ের ডেলা বলেছে, ‘ইউরোপ এখন নিজেদের সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাকে সত্য হতে দেখছে। কিয়েভকে তার ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আটলান্টিকের অপর পারে যাদের বন্ধু ভাবা হতো, তারা আদতে বন্ধু নয়।’
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস লিখেছে, ‘ওভাল অফিস থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা এসেছে, তা হলো যদি আমাদের জরুরি প্রয়োজন ও নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনো সংশয় থাকে, তাহলে বিশ্বে আমাদের বন্ধু কারা, সেই বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
সুইজারল্যান্ডের সংবাদপত্র নিউ জুরচার জেইতুং পরামর্শ দিয়ে লিখেছে, ‘যদি ইউরোপীয়রা সত্যিই ইউক্রেনে টেকসই শান্তি চায়, তাহলে সম্ভবত তাদের নিজেদেরই নেতৃত্ব নিতে হবে, আমেরিকান আশ্বাসে ভরসায় থেকে নয়।’
জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকা লিখেছে, ‘ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আলোচনা দেখে মনে হয়েছে, আমরা একটি নতুন বিশ্বে বাস করছি। পশ্চিমা বিশ্বে এখন তার পুরোনো শীর্ষ বন্ধুর কবল থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে।’