অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
Published: 14th, January 2025 GMT
৩১ জানুয়ারির পর অবৈধ বিদেশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আবারও মনে করিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
এর আগেও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, ভিসা না থাকা অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আজকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত রয়েছেন। এমতাবস্থায়, অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত বা কর্মরত ভিনদেশি নাগরিক যাঁরা ইতিপূর্বে জারিকৃত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্য ফরেনার্স অ্যাক্ট-১৯৪৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি এই আইন বা এর অধীনে জারি করা কোনো আদেশ বা নির্দেশ লঙ্ঘন করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ