পিএসএলে ডাক পাবেন, আশা ছিল রিশাদের
Published: 14th, January 2025 GMT
পিএসএল ড্রাফটে ছিলেন বাংলাদেশের ৩৯ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে সাকিব-তাসকিন-মুস্তাফিজরা দল না পেলেও রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা ও লিটন দাস দল পেয়েছেন। রিশাদকে নিয়েছে লাহোর কালার্ন্দাস। বিগ ব্যাশে দল পেয়েও খেলতে না পারা রিশাদ জানিয়েছেন, ডাক পাবেন এমন আশা আগে থেকেই তার ছিল।
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন রিশাদ হোসেন। চট্টগ্রাম পর্বে আছে দল। সেখানে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যম দেশের তরুণ এই লেগ স্পিনার জানান, বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাকে পিএসএলে দল পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রিশাদ বলেন, ‘আমি কিছু নিয়ে বেশি আশা করি না। আইপিএল, বিগব্যাশ বা পিএসএল এসব নিয়ে ভাবছি না। বিপিএলে আছি, এটা শেষ করার পর দেখব। পিএসএলে দল পাওয়ার পর এজেন্ট বলছিলেন, চান্স পেয়েছি। আমিও আগে থেকে আশা করেছিলাম চান্স আছে।’
রিশাদ জানান, পিএসএলে দল পাওয়া এবারের তিন ক্রিকেটার ভালো করলে সামনে ১২-১৫ জনের জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে। এবারের বিপিএলে ভালো করায় পরের বছর অনেকের সুযোগ আসবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া তামিম প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি বলছিলেন- ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি (লাহোর), খেলে মজা পাওয়া যাবে।’
তারকাসমৃদ্ধ দল গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। কিন্তু শাহিন আফ্রিদি, কাইল মায়ার্সরা চলে গেছেন। রিশাদের মতে, কে আছেন, কে গেছেন তা ভেবে লাভ নেই, ‘আগে কী হয়েছে তা চিন্তা না করে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছি। চট্টগ্রাম পর্বের তিন ম্যাচ জিতে ঢাকা পর্বে ফেরার চেষ্টা করবো। বোলার হিসেবে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত না। ৫ উইকেট পেলেও না। দলকে ১ ওভার বোলিং করেও বাঁচানো গেলে আমার জন্য ভালো। আমরা যে ১১ জন খেলবো সেরাটা দিতে হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর
পিএসএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনটি–তিনটি করে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁর দারুণ বোলিং লাহোর কালান্দার্সকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আজও ২ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। তবে ছিলেন বেশ খরুচে; ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।
অবশ্য শুধু রিশাদ কেন, রান উৎসবের ম্যাচে বেশিরভাগ বোলারই আজ কঠিন সময় পার করেছেন। তবে ম্যাচ শেষে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে মুলতান সুলতানস। রিশাদের লাহোরকে তারা হারিয়েছে ৩৩ রানে।
এবারের পিএসএলে নিজেদের মাঠ মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটিই মুলতানের প্রথম ম্যাচ। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ হারা দলটি এ রাতেই পেল প্রথম জয়।
ওপেনার ইয়াসির খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে (৬টি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ বলে ৮৭) ২২৮ রানের পাহাড় গড়েছিল মুলতান। জবাবে লাহোর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানে থামে। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন উবাইদ শাহ। মুলতানের পেসার উবাইদের আরেক পরিচয় পাকিস্তান জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার নাসিম শাহর ছোট ভাই।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলে ফেলেছিল মুলতান, যা এবারের পিএসএলে পাওয়ারপ্লেতে দলীয় সর্বোচ্চ। সপ্তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন রিশাদ, দেন ১০ ওভার। ১২তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে দেন ১২ রান।
তবে নিজের শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট নেন রিশাদ। এই দুই ওভারে আরও ২৩ রান দিলেও আউট করেন উসমান খান আর অ্যাস্টন টার্নারকে। এরপরও মুলতানের রানের লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদি আজ দেদারসে রান বিলিয়েছেন। শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২২৮ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা।
কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও ফখর জামানের উইকেট হারায় লাহোর কালান্দার্স। দলীয় ৮৭ রানের মধ্যে হারায় প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে।
এরপরেই ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাদ। আগের দুই ম্যাচে আটে ও সাতে নামা এই অলরাউন্ডার আজ আরও এক ধাপ ওপরে উঠে এসে ব্যাট করলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২ বলে ২ রান করে লেগ স্পিনার উসামা মিরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।
তবু লাহোরের জয়ের কিঞ্চিৎ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন স্যাম বিলিংস ও সিকান্দার রাজা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিং শুধু লাহোরের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রিশাদদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরমুলতান সুলতানস: ২০ ওভারে ২২৮/৫ (ইয়াসির ৮৭, ইফতিখার ৪০*, উসমান ৩৯, রিজওয়ান ৩২; রিশাদ ২/৪৫, রাজা ১/১৫, আসিফ ১/২৬, আফ্রিদি ১/৪৩)।
লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ১৯৫/৯ (রাজা ৫০*, বিলিংস ৪৩, ফখর ৩২; উবাইদ ৩/৩৭, ব্রেসওয়েল ২/২০, উসামা ২/২৬)।
ফল: মুলতান সুলতানস ৩৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইয়াসির খান।