রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন ৪৮০ জন ক্যাডেট উপপরিদর্শক (এসআই)। ইতোমধ্যে তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হয়েছে। বুধবার সকালে অবশেষে তাদের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হচ্ছে।

এদিকে, একই ব্যাচের ৩২১ জন ক্যাডেট অব্যাহতি পেয়ে আছেন আমরণ অনশনে। নাস্তা না খেয়ে হইচই, ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে প্রশিক্ষণ থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে তাদের। চাকরি ফিরে পেতে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে ঢাকায় আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।

পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শুরুর পরই নানা অভিযোগে ডিসচার্জ হন ২২ জন। গেল বছরের ৪ নভেম্বর ৮০১ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: আরো ৩ জন গ্রেপ্তার 

বরিশালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

এরই মধ্যে সম্প্রতি চার দফায় মোট ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে এখন টিকে আছেন ৪৮০ জন। তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ হচ্ছে বুধবার। আর অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ জন আছেন আমরণ অনশনে। তারা চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

ঢাকায় আন্দোনে থাকা অব্যাহতিপ্রাপ্ত এক এসআই জানান, সোমবার সকাল থেকে তারা সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। বিকেল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবারও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আশানুরূপ বার্তা পাননি।

পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত এক এসআই জানান, ইতোমধ্যে তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হয়েছে। সকালের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য তারা প্রস্তুতি রেখেছেন।

পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বিষয়গুলো নিয়ে পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো.

মাসুদুর রহমান ভূঞার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই

চট্টগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে মারধর এবং মুঠোফোন ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাফসীর ইমাম ও মো. সাইমন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই ইউসুফ আলীর চোখে পড়ে চরপাড়াঘাট এলাকায় কিছু স্থানীয় যুবক মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন। এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়ে যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। এসআই ইউসুফ আলী তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

আধা ঘণ্টা পর বেশ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে ফিরে আসেন ভুল স্বীকার করা দুই যুবক। এই সময় এসআই ইউসুফ আলী তাঁর সঙ্গে থাকা টহল গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যুবকেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো ভুয়া পুলিশ। আপনার আইডি কার্ড কই?’ এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসআই ইউসুফ আলীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাঁকে। ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ওয়াকিটকি সেট, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতেঙ্গা থানার পুলিশ এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে এসআই ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তারা বখাটে প্রকৃতির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানের ১৮ দিন
  • পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • মব তৈরি করে এসআইকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার আরও ১০
  • পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশের এস আইয়ের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১০ 
  • চট্টগ্রামে এসআইর ওপর হামলা, দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই