প্লাস্টিক দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পাবনা রিভারাইন পিপলের উদ্যোগে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার পাবনা আদর্শ গার্লস হাই স্কুল মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

রিভারাইন পিপল পাবনার সভাপতি ও নদী গবেষক ড. মনছুর আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহাবুব আলমের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্টেট মো.

মনিরুজ্জামান।

মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় প্লাস্টিক সামগ্রী আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। তাই এর ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। একটি প্লাস্টিক বোতল কতবার ব্যবহার করা যাবে, ব্যবহৃত সামগ্রী কোথায় ফেলতে হবে তা জানতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্লাস্টিকের কারণে শুধু পরিবেশ দূষণই ঘটছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। তাই এ অনুষ্ঠান থেকে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার সম্বন্ধে যে জ্ঞান অর্জন করলে, তা ১০ জন শিক্ষার্থীকে জানাবে। আবার ১০ জন ১০০ জনকে জানাবে। এভাবে আমরা লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের যতটুকু ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে; আর ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না। এ সময় তিনি রিভারাইন পিপল পাবনা দেশের নদনদী রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশসংক্রান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেছে নেওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। 

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতার, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পাবনার সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সূচনা সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি পূর্ণিমা ইসলাম, আদর্শ গার্লস হাই স্কুল পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি সমাজসেবক মুস্তাকিম সবুজ, প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড.  আল-আমীন, কৃষিবিদ জাফর সাদিক, সাংবাদিক হাসান আলী, খালেদ আহমেদ, শফিক আল কামাল, সহকারী শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির এবং কে এম শুকুর আলী, কবি ফিরোজা খান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, “ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি।”

শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।

আরো পড়ুন:

ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ 

যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের

স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব।”

তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।

পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, “জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্য সেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।”

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্প খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।”

ডায়ালগে আরো অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, বিআইপি এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জিনিয়ার মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ