সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন। মর্যাদাপূর্ণ এই সম্মেলনে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ঘিরে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ সুইজারল্যান্ড শাখা। ওইদিন দেশটিতে পৌঁছানোর কথা প্রধান উপদেষ্টার।

জানা গেছে, বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে আগস্টে পদত্যাগ করে ভারতে অবস্থান নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার।

আরো পড়ুন:

বরিশালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

‘খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশ গেছেন, আর হাসিনা পালিয়ে’ 

আওয়ামী লীগ সুইজারল্যান্ড শাখার উদ্যোগে জেনেভা জাতিসংঘ চত্বরে আগামী ২০ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বাজেয়াপ্ত করতে জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান ও নোবেল কমিটির কাছে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দাবি জানানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনটি।

আওয়ামী লীগ সুইজারল্যান্ড শাখা সভাপতি জমাদার নজরুল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, স্বাধীনতার পক্ষের অন্যান্য সংগঠন ও ইউরোপে বসবাসরত আওয়ামী লীগ কর্মী-সদস্যদের সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সুইজারল্যান্ড শাখার পক্ষ থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকারও কথা রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এবং ড. ইউনুসের পদত্যাগ দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনটি অভিজাতদের সমাবেশ হিসেবে পরিচিত।

২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১০০-এর বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। এই ফোরামে এক হাজার পার্টনার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান সক্রিয়ভাবে জড়িত। জি-৭ ও জি-২০ দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানরাও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সুশীল সমাজ, শ্রম ও মিডিয়া সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি শীর্ষ থিংক ট্যাংক এবং শিক্ষাবিদরাও থাকেন।

দাভোস সম্মেলনে অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বার্ষিক এই সম্মেলনের বাইরে সাইডলাইন বৈঠক করে থাকেন। 

সম্মেলনে প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানরাও থাকবেন। ফলে তাদের সঙ্গে সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন বলে জানায় পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্র।

সম্মেলনে যোগদান শেষে ২৪ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এসবি

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ