পুলিশ পরিচয়ে বাহিনীর পোশাক পরে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য হাকিম উদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুজন হলেন- মো. শহিদ ও আল আমিন মাতুব্বর। সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের চৌধুরীপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম, এক জোড়া অক্সফোর্ড স্যু, একটি পুলিশের ট্র্যাকসুট, একটি পুলিশের রিফ্লেকটিং ভেস্ট, ইউনিফর্মের বিভিন্ন উপকরণ, একটি পিস্তল কভার ও সাতটি মোবাইল ফোন এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

হাতিরঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, চৌধুরীপাড়ার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ৩৮/২ নম্বর বাসার সামনে মোটরসাইকেলে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করছিলেন তিন ব্যক্তি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় থানার একটি দল। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাকিম পুলিশকে জানান, তিনি ২০২২ সালে চাকরিচ্যুত হন। এরপর তিনি সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ