কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় পুলিশ নারীসহ আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার তিনজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে তাদের পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

আরো পড়ুন:

চুরি করতে দেখে ফেলায় ওহাব মাতুব্বরকে হত্যা: পুলিশ

কুষ্টিয়ায় বিএনপির হামলায় আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু 

জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হোটেল সি-গালের সামনের ফুটপাতে গুলি চালিয়ে ৫৪ বছর বয়সী গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু এবং টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলেও শুনানির দিন এখনো নির্ধারণ হয়নি।

এ ঘটনায় গোলাম রব্বানীর ভগ্নিপতি মো.

ইউনুস আলী শেখ শুক্রবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউপি সদস্যসহ তিনজনের কাছে মিলল আড়াই লাখ জাল টাকা

কক্সবাজারে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যও রয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা এলাকায় বিজিবির তল্লাশিচৌকিতে তাঁরা ধরা পড়েন।

গ্রেপ্তার ইউপি সদস্যের নাম মো. হাসান। তিনি রামুর কাউয়ারকোপ ইউপির সদস্য। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুজন হলেন একই ইউনিয়নের মো. কাজল ও এহসানুল হক। তাঁদের তিনজনের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৫টি বেশি পশুর হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব হাটে জাল নোট বেচাবিক্রির একটি দল সক্রিয় হয়েছে। উখিয়া উপজেলা থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে আসার সময় ওই ইউপি সদস্য ও তাঁর সহযোগী দুজনকে বিজিবি আটক করে। পরে তাঁদের রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, জাল নোটসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাল নোট বেচাবিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউপি সদস্যসহ তিনজনের কাছে মিলল আড়াই লাখ জাল টাকা