অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার অলিয়াবাদ গ্রামের মো.

আলী আব্বাসের ছেলে মো. আতিকুর রহমান (৩৬), যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আসলাম হুসাইন (৩২), বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা গ্রামের তপন ঢালীর ছেলে তন্ময় ঢালী (২৫), একই জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ছোটপরী গ্রামের মোশারফ খানের ছেলে মো. মাহাবুব খান (১৮) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মো. জাহঙ্গীর আলমের ছেলে মো. রাকিব হাসান (১৭)।

বিজিবি অধিনায়ক বলেন, “সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারত থেকে সীমান্ত পারাপার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বরত বিজিবির একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে তাদের পাঁচ জনকে আটক করা হয়।”

বিজিবি অধিনায়ক জানান, আটক মো. আতিকুর রহমান ও মো. আসলাম হুসাইনের শ্বশুর বাড়ি ভারতের নয়াদিল্লী ও কুচবিহারে। তারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে দেখা করার জন্য যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে। এছাড়া তন্ময় ঢালী শ্রমিকের কাজ করত ভারতে, মাহাবুব খান তার চাচার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল এবং রাকিব হাসান ভারতে অবস্থান করা তার পিতা-মাতার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। 

বর্তমানে ভারতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিশেষ ধরপাকড় শুরু করায় তারা আজ ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।

অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে আটক পাঁচ ব্যক্তিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক।

ঢাকা/শাহীন/এস

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ