রাজধানীর শ্যামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। তার নাম আরাফাত তানজিদ ওরফে চয়ন (১৭)। সে ঢাকার সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. সাহেদ (১৭) আহত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শ্যামপুরের ধোলাইপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়েছেন।

শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, সিমেন্টবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি একই দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে ট্রাকটিকে অতিক্রম করার সময় ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে চালক ও আরোহী দুজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত তিনটার দিকে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। সাহেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরাফাতের চাচা মো.

কামাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে জুরাইনের বাসা থেকে বের হয়েছিল আরাফাত। তারপর সে আর বাসায় ফেরেনি। তার বাবা হুমায়ূন কবির একজন ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। থাকে জুরাইনের ঋষিপাড়ায়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে ৫ বছর পর কারাগারেই বিয়ে হল শিমুল-লিমার

প্রেম করে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ ভাদেশ্বরের শিমুল আহমদ। দীর্ঘদিন ছিলেন লাপাত্তা। এরপর ওই তরুণীর ঘরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সন্তানের পিতৃপরিচয় ও বিয়ের স্বীকৃতি নিয়ে বরের বাড়িতে হাজির হন কয়েকবার।

বার বার প্রত্যাখাত হয়ে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করেন আলফাতুন্নেসা লিমা। সম্প্রতি আদালত তরুণী লিমাকে বিয়ের নির্দেশ দিলে বৃহস্পতিবার কাজী ডেকে দুই পরিবারের সম্মতিতেই কারাগারেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ সময় ৪ বছরের মেয়ে শিশুটিও উপস্থিত ছিল। 

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ভাদেশ্বরের কলাশহরের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে শিমুল আহমদ। তার সঙ্গে গড়ে ওঠে তরুণী লিমার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে তরুণী লিমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান শিমুল। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা। তাদের ঘনিষ্টতায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন লিমা। বিষয়টি শোনার পর পালিয়ে যান শিমুল। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করেন লিমা। ওই মামলায় গেল বছরের ১৯ এপ্রিল পুলিশ গ্রেপ্তার করে শিমুলকে। এরপর থেকেই হাজতবাস করছেন তিনি।

এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন শিমুল। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানালে আদালত একই আদেশ দেন। সম্প্রতি আদালত বিয়ের নির্দেশনা দিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট কারাগার কর্তৃপক্ষ বিয়ের আয়োজন করে। বিয়েতে উভয় পরিবারের কর্তাব্যক্তি ছাড়াও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিয়ের কাজী সজীব আহমদ জানান, আদালতের নির্দেশে উভয়পক্ষের স্বজনদের উপস্থিতিতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে শিমুল আর লিমার। আমি তাদের বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি। দীর্ঘদিন বর পলাতকও ছিল। তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান বলেন, বিবাহ সম্পর্কিত একটি আদেশ আমাদের দপ্তরে আসে। এরপর আমরা আদালতের সেই নির্দেশ পালন করি। উভয়পক্ষের লোকজন ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা দুজনেই ছিলেন খুশি। এক অপরকে মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন তারা। আদালতে তাদের বিয়ের প্রতিবেদন দেওয়া হলে আর কোনো প্রকার মামলা না থাকলে শিমুল মুক্তি পেতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ