কক্সবাজার টেকনাফে বাড়ি থেকে ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন মো. শাকের আহমদ (৬০)। পরে সারা দিন তার কোনো খোঁজ পাননি স্বজনেরা। রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোন করে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। জীবিত ফিরে পেতে চাইলে দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা।

গতকাল সোমবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের ঘোনারপাড়া থেকে নিখোঁজ হন শাকের আহমদ। তিনি  টেকনাফ হোয়াইক্যং মিনা বাজার ঘোনা পাড়ার এলাকার বাসিন্দা। 

অপহৃত শাকের আহমদ ৩ বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে প্রবাস জীবন শেষ করে বাড়িতে আসে। তার এক ছেলে মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব নিয়ে মালয়েশিয়া থাকেন।

মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে। মুক্তিপণের বিষয়টি আমিও শুনেছি।’

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয় শাকেরকে। পরে গতকাল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

অপহৃত শাকের আহমদের ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, আমার বাবা ১৩ জানুয়ারি ফজরের নামাজ পড়তে এলাকার মসজিদে যায়। নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু কোথায় না পেয়ে আমরা অনেক ভয়ের মধ্যে ছিলাম। পরে রাতে আমার আম্মুর নম্বরে ফোন করে অপহরণের কথা বলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়ে টেকনাফে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার বৃদ্ধ পিতাকে উদ্ধারের জন্য আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাই।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬ 

ফেসবুকে ফাঁদ পেতে একজনকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ছয় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বন্দর থানার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮), একই থানার দাশেরগাঁও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯), নোয়াদ্দা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪), কাইটাখালী এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪), একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মো. শরিফ (২৭)।

বন্দর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বন্দরের স্বল্পের চক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক ডিজাইনার আল আমিনের (৩০) ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। মেসেঞ্জারে কথা হতো। গত সোমবার রাত ১১টায় রিংকির সঙ্গে দেখা করতে আল আমিন বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখান থেকে রিংকির সহযোগীরা আল আমিনকে অপহরণ করে কাইটাখালী বাসস্ট্যান্ডের অল্প দূরে একটি নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আল আমিনকে তাঁর বাবার কাছে মোবাইল ফোনে কল করিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ হিসেবে আল আমিনের বাবা বিকাশের মাধ্যমে ৪৮ হাজার টাকা দেন। মঙ্গলবার সকালে আরও টাকার দাবিতে অপহরণকারীরা আল আমিনকে কাইটাখালী থেকে সাবদী গ্রামে নিয়ে যায়। সাবদীতে আল আমিন টহল পুলিশের গাড়ি দেখে চিৎকার দিলে অপহরণকারীরা তাঁকে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

আল আমিন রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার ছয়জনসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্নেল অলির ওপর হামলায় আ’লীগের ২০১ জন আসামি
  • দেশেই ফেসবুক, গুগলের সার্ভার আনার উদ্যোগ
  • প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ‘অপহরণ’
  • প্রেমের প্রস্তাবে রাজ না হওয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ‘অপহরণ’
  • গত সরকারের সুবিধাভোগী ৩ জনের আবেদন বাতিল
  • নিজের অপহরণের নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি
  • সিলেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উত্তোলন
  • সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ আর নেই
  • ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬ 
  • আইজিপি বরাবর অভিযোগের পর ধর্ষণ মামলা নিলেন সোনারগাঁয়ের ওসি