গ্রন্থাগার থেকে হারিয়ে গেছে ১ লাখের বেশি বই
Published: 14th, January 2025 GMT
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুরো এসেক্সের গ্রন্থাগার থেকে ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি বই হারিয়ে গেছে।
এসেক্স কাউন্টি কাউন্সিল জানিয়েছে, বইগুলো ৪৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ফেরত না আসায় ‘হারিয়ে গেছে’ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে গ্রন্থাগার বই ফেরত আনতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৫৮ হাজার ৮৪৫ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
একজন মুখপাত্র বলেন, গ্রন্থাগারের সেবা ভালোই ছিল। কিন্তু পাঠকেরা তাঁদের প্রিয় উপন্যাসগুলো না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করতেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতি মাসে পুরো এসেক্সে হাজার হাজার বই ধার দেওয়া হয়, যা মূলত পড়া, শেখা ও সাক্ষরতার প্রতি অনুপ্রেরণা জোগাতে সহায়তা করে। তবে এই বইগুলো সময়মতো বা আদৌ আমাদের কাছে ফেরত আসে না।’
বিবিসি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, আনুমানিক ১ লাখ ৫ হাজার ৪৫৫টি বই হারিয়ে গেছে। সেখানকার গ্রন্থাগারের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো গ্রাহক বই হারান, তাহলে তাঁকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আবার দেরিতে ফেরত দিলে জরিমানা গুনতে হবে।
এসেক্স কাউন্টি কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সময়মতো বই ফেরত দিতে না পারলে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন দশমিক ২৬ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। সপ্তাহ শেষে জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ দশমিক ৭৬ পাউন্ড।
সূত্র: বিবিসি
গ্রন্থনা: রবিউল কমল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ