রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরসিআরইউ) ২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এতে স্থানীয় দৈনিক রাজশাহী সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও খবর সংযোগের রাজশাহী প্রতিনিধি আবু সাঈদ রনিকে সভাপতি এবং দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কলেজ প্রতিনিধি আব্দুল আলিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে কলেজের হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবনে আরসিআরইউ কার্যালয়ে বিদায়ী সভাপতি আব্দুল হাকিমের পরিচালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

সভায় ইউনিটির উপদেষ্টা আজমত আলী, ড.

সৈয়দ আলী আহসান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি শামসুন্নাহার সুইটি, মাহাবুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাদিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আছেন, সহ-সভাপতি আফসানা মিমি (নিউজ নাউ), সুজন হোসেন (নবরূপ টিভি), সাংগঠনিক সম্পাদক জুল ইকরাম ফেরদৌস ইবতেদা (দৈনিক সানশাইন), দপ্তর সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন (রাজশাহী পোস্ট), অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম মিয়া (প্রজন্ম নিউজ ও খোলা দর্পণ), প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক আল সাকিব (ব্রেকিং নিউজ ও খোলা দর্পণ), মুজাহিদুল ইসলাম (আরসি বার্তা ও আলোকিত দর্পণ)।

এছাড়াও নির্বাহী সদস্য হয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন ছন্দা (আরসি বার্তা ও দেশচিত্র) এবং ফারজানা ইসলাম মিতু (রাইজিংবিডি)।

এদিকে, নতুন কমিটিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী ও শিক্ষক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সেরাজ উদ্দীন। 

এছাড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আউয়াল, রাজশাহী এডিটরস ফোরামের সভাপতি লিয়াকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব অপু, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আরটিজেএ) সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু ও সাধারণ সম্পাদক মুহিব্বুল আরেফিন।

রাজশাহী ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সাংবাদিক সমিতি, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাবি প্রেসক্লাব, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবির, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদল, রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি–জামায়াতের বাইরে অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর নির্বাচনী জোট করা ছাড়া পথ কী

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সব পর্যায়ে রাষ্ট্র সংস্কারের দমকা হওয়া উঠেছিল। কিন্তু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের পালে হঠাৎ করে হাওয়া কমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।

দ্বিদলীয় গণতন্ত্রে এক দল পলাতক হলে অন্য দল যে খোলা মাঠে গোল দিতে নির্বাচন চাইবে, সেটা স্বাভাবিক। অন্যদিকে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রাণভোমরা। তাই নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করাতে গণতন্ত্রকামী অন্য দলগুলোও তাদের নির্বাচনী হিসাব মেলাতে বাধ্য হওয়ার কথা। এমনকি নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করা দলও তাদের বৈধতা প্রমাণ করতে নির্বাচনের রাজনীতির দিকেই ঝুঁকবে।

কিন্তু একদলীয় নির্বাচনী ভাগ্যচক্রে অন্য দলগুলো কী পরিণতি আশা করতে পারে?

ভোটের হিসাবে বিএনপির পর দ্বিতীয় শক্তিশালী দল জামায়াত কোনো নির্বাচনেই পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। তাই তাদের পক্ষে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫টি আসন পেতেই হিমশিম খাওয়ার কথা। দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির দলগুলো এক নেতা, এক দল; তাই তারা সম্মিলিতভাবে ১০টির বেশি আসনে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না। কিন্তু তাদের আসনে বিএনপি যদি প্রার্থী দেয়? তাহলে বোধ হয় তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না যে তারা ১০ ভাগ ভোট পেতে পারে। জিতে আসা তো অনেক দূর।

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে এই জোটই সংসদের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায়ও আওয়াজ তুলতে পারবে। সেটা একদিকে আওয়ামীতন্ত্রে ফেরার ঝুঁকি কমাবে, আবার অন্যদিকে গণতন্ত্রের আওয়াজ জারি রাখলে পাঁচ বছর পরের যে সংসদ, সেখানে ক্ষমতা নির্ধারণ তাদের হাতেই থাকবে।

ছাত্রদের নতুন দলে হাতে গোনা কয়েকজনের জাতীয় পরিচিতি থাকলেও এলাকার রাজনীতি তাঁরা করেননি। তাই রাষ্ট্রীয় সমর্থনবিহীন নির্বাচনী পাশা খেলায় তাঁরা নিজ নিজ আসনে কতটা কী করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে বিএনপি বুঝতে পারছে যে একদলীয় নির্বাচনে ২৯০ সিট জিতে আসা তাদের জন্য বিপজ্জনক। বিরোধী দল না রাখার শেখ সাহেবের ’৭৩ সালের ভুল তাদের স্মরণে আছে নিশ্চয়ই। সে জন্য তারা তাদের মিত্রদের কাছে ১০০ সিট ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এই সুযোগে মিত্র দলগুলো এখনই সংসদের সবুজ চেয়ারে বসার স্বপ্নের ডানায় উড়াল দিয়ে ফেলেছে।

এই স্বপ্নের যাত্রায় গণতন্ত্রের পক্ষের যে দলগুলো আওয়ামী জুলুমের সময় রাস্তায় ছিল, তারাও কি বুঝতে পারছে যে একবার বিএনপির আশীর্বাদের চাদরে ঢুকে গেলে তাদের ইনু-মেনন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না? আর ইনু-মেননরা যেহেতু রাস্তার রাজনীতি বিসর্জন দিয়েই যেহেতু সংসদে বসার দাসখত দেন, সামনের বিএনপির সময়েও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো এই কায়দায় রাস্তায় নামতে না পারার ঝুঁকিতে পরতে পারে।

আর রাস্তা ফাঁকা থাকলে মানুষ তো আর বসে থাকবে না। তখন হয়তো তারা তাদের স্বার্থেই আওয়ামী লীগকে ডেকে আনবে!

এমন একই পটভূমিতে ইতিহাস যাতে গুম-খুনের আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার বাঁক নিতে বাধ্য না হয়, সে জন্য বিএনপির বাইরে অভ্যুত্থানের পক্ষের নতুন-পুরোনো সব দল মিলে একটা নির্বাচনী জোট গড়ে তোলা ছাড়া কোনো সমাধান নেই।

বাংলাদেশের মানুষের অভিজ্ঞতা বলে যে বিএনপি আসলে আওয়ামী লীগেরই অন্য পিঠ। তাই মানুষের পক্ষের নির্বাচনী জোট সামনে এলে আগামী নির্বাচনে চমক দেখানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেই নির্বাচনে যদি তারা পঞ্চাশের কম আসনও পায়, তারাই হবে প্রধান বিরোধী জোট। সেই সংসদে বিএনপি জোর জুলুম করতে চাইলে হয়ে সংসদে তারা জোরালো কণ্ঠে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবে।

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে এই জোটই সংসদের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায়ও আওয়াজ তুলতে পারবে। সেটা একদিকে আওয়ামীতন্ত্রে ফেরার ঝুঁকি কমাবে, আবার অন্যদিকে গণতন্ত্রের আওয়াজ জারি রাখলে পাঁচ বছর পরের যে সংসদ, সেখানে ক্ষমতা নির্ধারণ তাদের হাতেই থাকবে।

সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক কর্মী

[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ