বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নগরীর বাটার গলির নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান। 

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি আব্দুল মালেক হাওলাদার। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি তার বাটারগলির বাসায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

রেললাইনে মিলল মরদেহ, পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা

‘চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে’

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক। গত ৪ আগস্ট বরিশালে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৩ আগস্ট কোতোয়ালি মডেল থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে আরো ৬০০-৭০০ জনকে। ওই মামলায় আব্দুল মালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ