শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত ও নবীনদের র্যাগিং বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়ে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; গণরুম-গেস্টরুম কালচারসহ সব ধরনের র্যাগিং বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ বছরে ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচারের কারণে শিক্ষার্থীদের দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে। ক্ষমতার পরিবর্তনের পরও এ সংস্কৃতি নতুন করে দেখা দিচ্ছে। যা শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করছে।
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়, তবে শিক্ষার্থীরা কোথায় নিরাপত্তা পাবে?
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে হাতুড়ি পিটায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু : লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন
রূপগঞ্জে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির ফেইসবুক লাইভে এসে বিএনপি নেতা শান্ত সরকারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখমের ঘটনায় ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শান্ত সরকার হত্যার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কের কালনী এলাকায় লাশ দাফনের আগে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী পরিবার সহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা কহিনুর বেগম, বাবা জসিম সরকার, চাচা সালাউদ্দিন সরকার, মামা শাহীন সরকার, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন আকন্দ, হুমায়ূন কবির মিঠু সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের নেতৃত্বে নাঈম ফকির, রানা ফকির, সিয়াম, অলিউল্লাহ, হাবিবুল্লাহ, অনিক ফকির, এনায়েত ফকির, রাজিব, শাহীন সহ একদল সন্ত্রসীরা গত ১১ এপ্রিল বিকেলে ফেইসবুক লাইভে এসে অন্যায় ভাবে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে শান্ত সরকারকে গুরুত্বর জখম করে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রাতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় শান্ত মারা যাওয়ার আগে ১২জন আসামী জামিনে বেরিয়ে আসে। তবে, শান্ত নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের ও আসাদ ফকির সহ সকল আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শান্তর লাশ দাফন করা হবে না এবং মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকার হুশিয়ারি দেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভকারীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সকাল ১১টার দিকে নিহত শান্তের লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তবে, যেহেতু শান্ত মারা গেছে তাই মামলাটিতে হত্যা মামলার ধারা যুক্ত করা হবে এবং আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।