ফেবারিট ছিলেন যশপ্রীত বুমরাই। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যা করেছেন ভারতের ফাস্ট বোলার, তাতে ডিসেম্বরের মাসসেরা ক্রিকেটারের নাম ঘোষণাটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ সেই আনুষ্ঠানিকতাটুকুই সেরেছে আইসিসি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, প্যাট কামিন্স ও ডেন প্যাটারসনকে পেছনে ফেলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বুমরা।
আরও পড়ুনদল না পেয়ে ক্ষোভে চিরতরে পিএসএল বর্জনের ঘোষণা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের২১ মিনিট আগেডিসেম্বরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার তিন টেস্টে ২২ উইকেট নেন বুমরা। ১৪.
অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া বুমরা ব্রিসবেনে পরের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৯ উইকেট। এরপর বক্সিং ডে টেস্টেও ৯ উইকেট পেয়ে যান। পুরো সিরিজে পাঁচ ম্যাচে ৩২ উইকেট পেয়ে এক সিরিজে ভারতীয় পেসারদের উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। শুধু ডিসেম্বরেই নয়, পুরো ২০২৪ সালেই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স ছিল বুমরার। ১৩ টেস্টে ১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট নিয়েছেন। এরপর তো সর্বকালের সেরা পেসারদের সঙ্গেই তুলনা শুরু হয়েছে বুমরার।
আরও পড়ুনপিএসএল নিয়ে ইসিবির মুখোমুখি ইংলিশ ক্রিকেটাররা১ ঘণ্টা আগেএ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসির মাসসেরা হলেন বুমরা। প্রথমবারও ২০২৪ সালেরই জুন মাসে।
মেয়েদের বিভাগে মাসসেরা হয়েছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। মাসসেরার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ননকুলুলেকো এমলাবা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৪ সালে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ
২০২৪ সালে সবমিলিয়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর ৯৫ শতাংশ দাবিই মাত্র ৩ কর্মদিবসের ভেতর পরিশোধ করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৩৬ হাজার গ্রাহকের মৃত্যু দাবি ২৪১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য বীমা দাবি ১০৯ কোটি টাকা এবং পলিসি পূর্ণ হওয়া সহ অন্যান্য দাবি বাবদ ৮৯ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করা হয়। গতবছর সবমিলিয়ে ৪৩৯ কোটি টাকার বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এ বিষয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, ‘সবার জন্য বীমা’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে দেশের ১ কোটি ২৬ লাখেরও বেশি মানুষকে বীমার আওতায় এনেছি, এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বীমা খাতের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করা। এই বিশ্বাসকে অটুট রাখতে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’নীতি অনুসরণ করা হয়। দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বীমা দাবি পরিশোধ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে বেশিরভাগ দাবি ৩ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হলেও আমরা আরও কম সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত উন্নয়নের ওপর কাজ করছি। বীমা খাতে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারলেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
উল্লেখ্য, বীমা খাতকে দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মাইক্রো-ইন্স্যুরেন্স, ডিজিটাল এবং অল্টারনেটিভ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল, ব্যাংকাস্যুরেন্স সহ অন্যান্য উদ্ভাবনী বীমার ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে গার্ডিয়ান লাইফ। একইসাথে, তারা ৪৫০-টিরও বেশি দেশী ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য বীমা সেবা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, দেশজুড়ে সাড়ে ৪ শ’রও বেশি পার্টনার হাসপাতাল থেকে গার্ডিয়ান লাইফের গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা। ক্যাশলেস ফেসিলিটিস এর মাধ্যমে গ্রাহকরা গার্ডিয়ান লাইফ অ্যাপ এবং ২৪/৭ হেল্পলাইনের (১৬৬২২) মাধ্যমে পার্টনার হাসপাতাল থেকে নিতে পারছে নির্বিঘ্ন স্বাস্থ্য সেবা, কোন পেমেন্ট ছাড়াই। এছাড়াও গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা ভেবে গার্ডিয়ান লাইফ নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট ও টেলিমেডিসিন সেবা।
এএ