শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ। অল্প সংখ্যক গানে কণ্ঠ দিয়েও কম সময়ের মধ্যে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তার জন্মদিন। বিশেষ দিনটিকে ঘিরে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই এই সংগীতশিল্পীর।
সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ এরই মধ্যে গানের ভুবনেও এক দশক পূর্ণ করলেন। গানে গানে এক দশক ও জন্মদিন নিয়ে ধ্রুব গুহ বলেন, “এভাবে কিন্তু ভাবিনি আমি, সত্যিই হিসাব কষতে গিয়ে দেখি, দেখতে দেখতে গানের ভুবনে আমার পথচলার এক দশকই হয়ে গেল। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রথম গানের শুরু থেকে শেষ গান পর্যন্ত— যারা নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।”
জন্মদিনে কোনো আয়োজন করেননি ধ্রুব গুহ। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সুস্থ আছি, ভালো আছি। সবচেয়ে বড় কথা আমার মাথার ওপর আমার আশীর্বাদ হয়ে আমার বাবা-মা আছেন। আর জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কিছুই করছি না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, এটাই শুধু চাওয়া। সাধারণ মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসুক। জন্মদিনে সবার দোয়া আর ভালোবাসা চাই। সবশেষ আমার শ্রোতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা। তাদের জন্যই আজ আমার এই অর্জন।”
আরো পড়ুন:
গায়িকা নেহা কাক্করকে গ্রেপ্তারের ছবির সত্যতা কী?
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫
আফগানিস্তানের দল ঘোষণা, ফিরলেন ইব্রাহিম
ধ্রুব গুহর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো হলো— ‘শুধু তোমার জন্য’, ‘আদরে রাখিও বন্ধু’, ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’, ‘একলা পাখি’, ‘তোমার ইচ্ছে হলে’, ‘দাগা’, ‘তোমার উঁকি ঝুঁকি’ প্রভৃতি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’