২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহ্যগতভাবে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান প্রতি চার বছর পর ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্রশাসনে নিজের পছন্দমতো মন্ত্রীসভাও ইতোমধ্যে সাজিয়ে ফেলেছেন তিনি।

তবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষদিককার সময়টা খুব একটা যে সুখনীয় হয়নি এবং তিনি তার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার গড়তে একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছেন তা ওঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদনে। দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তার রাজনৈতিক সাফল্য থেকে শুরু করে ব্যর্থতার সালতামামি।

যুক্তরাষ্ট্রের যত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে আমেরিকার জনগণের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তা বাইডেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে মাত্র ৩৯% মানুষ তার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। যা তার মেয়াদের শুরুতে ছিল ৫৭%। তার জনপ্রিয়তা যে তার শাসনামলের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে তা গ্যালাপের জরিপই বলে দিচ্ছে। এমন বিষণ্ন সমাপ্তি বিশ্ব সচরাচর দেখেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বেলায়।

ক্ষমতার একদম শেষদিকে এসে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি চাই ইতিহাস বলুক আমি এসেছিলাম অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বিশ্বে আমেরিকার নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। আমি সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এটি করেছি।

যদিও জো বাইডেন তার প্রেসিডেন্সির শেষ পর্যায়ে এসে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। বাইডেন এবং তার প্রশাসনকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, যার কিছু ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে অনেক ঘটনাই চাইলেই তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন কিংবা এড়িয়ে যেতে পারতেন। তার একাধিক সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন প্রশাসনকে চড়ামূল্য দিতে হয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সময় যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম বড় ভুল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ফলে তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং তার নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 
সেবছর আগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই, বাইডেনের গ্যালাপ রেটিং ৫০%-এর নিচে নেমে যায়।

দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও বাইডেনের শুরুর সময়টি সুখকর ছিল না। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে মুদ্রাস্ফীতি ৫%-এর সীমা অতিক্রম করে ৯.

১%-এ পৌঁছায়। যা গত ৩০ বছরে প্রথমবারের মতো ঘটেছিল। যদিও ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে মুদ্রাস্ফীতি ৩%-এর নিচে নেমে আসে, বেকারত্বের হার কমেছিল, অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল, তারপরও দেশটির ভোটাররা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন।

এদিকে কোভিড-পরবর্তী মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি সামলাতে ব্যাপক হিমশিমও খাচ্ছিলেন বাইডেন। এর ফলে সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। সেখানকার অভিবাসীদের উত্তরাঞ্চলীয় শহরে স্থানান্তরের ঘটনা প্রশাসনকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় ফেলে দেয়। এর পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার কিট ও শিশুখাদ্যের ঘাটতি, ডিমের উচ্চমূল্য, গর্ভপাত অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত রায়ের অবসান এবং ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধের মতো ঘটনা নতুন নতুন সমস্যায় ফেলে।

ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের সমর্থন দেশটির মাঝে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এতে তার জনপ্রিয়তা আরও কমে যায়। আর ন্যাটো ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে একপ্রকার বাইডেনের সিদ্ধান্তেরই ফসল সেটি ওপেন সিক্রেট।

বাইডেনের আরেকটি দুর্বলতা ধরা হয় তার পড়তি বয়সকে। এক সময় তিনি দক্ষ বক্তা ও নানা সমস্যার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত জনসাধারণের কাছে তাকে ডুবন্ত নৌকার মতোই অর্থহীন করে তোলে।

দেশটির বিশেষ কাউন্সিল রবার্ট হার একটি প্রতিবেদনে তাকে দুর্বল স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন। যা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে।  

এছাড়াও মিডিয়ার সঙ্গে বাইডেনের যোগাযোগ ক্রমশ কমে আসে। তার ভুল ও অসাবধান নানা মন্তব্য রিপাবলিকানদের কাছে আক্রমণের অস্ত্র হয়ে ওঠে। শুরুর দিকে প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য কিছু আইন পাস হলেও পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ ও জনসাধারণের কাছে না পৌঁছাতে পারার কারণে বাইডেন প্রশাসন দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে এতসব ব্যর্থতার মাঝে তার যে সাফল্য ছিল না তা নয়। তিনি তার প্রশাসনে অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের যুক্ত করেছিলেন। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ছিলেন সেনেটে তার পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের একজন। ট্রেজারি সেক্রেটারি ছিলেন জ্যানেট ইয়েলেন। যিনি আগে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি বৃদ্ধি, কোভিড ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য অর্থায়ন এবং শিশু দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিতও হয়েছেন সবার কাছে।

তবে এই সাফল্য চ্ছেদ পড়ে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে কর এবং অস্ত্র-সংক্রান্ত মামলার বিষয়টিতে। এটি বাইডেনের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ছেলে হান্টারকে মাফ করার সিদ্ধান্তও ব্যাপক সমালোচিত হয় সেসময়।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাইডেন তার পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে তার রাজনৈতিক প্রচারণা ও শারীরিক দুর্বলতা সেসময় সমালোচিত হয়। অন্যদিকে ট্রাম্পকে এগিয়ে নিতে থাকলে তার পরিবর্তে তিনি তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য মনোনীত করেন। তবে নারী নেতৃত্বে দেশটির মানুষ খুব একটা ভরসা করতে না পারায় হিলারী ক্লিনটনের মতো কমলাকেও পরাজয় বরণ করতে হয়। যা বাইডেন প্রশাসনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে বিবেচনা করা হয়।

বাইডেন যদি ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা না দিয়ে দলকে নতুন নেতৃত্বের সুযোগ দিতেন, তাহলে হয়ত তার উত্তরাধিকার ও সাফল্য নিশ্চিত হতো।

এদিকে নতুন মেয়াদে বন্ধু ইলন মাস্ককে মূল হাতিয়ার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। ট্রাম্পের দাবি তিনি বাইডেনের অর্জনগুলোকে ভেঙে ফেলে আমেরিকাকে আবার মহান করার চেষ্টা করবেন। তবে সে যাত্রায় কতটুকু সফল হবেন ট্রাম্প‌ তা হয়ত গ্যালাপের নতুন কোনও জরিপই বলে দেবে।

আর জো বাইডেনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার কীভাবে প্রস্তুত হবে আরেকটি নতুন নির্বাচনে জয়ের জন্য তা ট্রাম্পের অর্জন ও নতুন প্রশাসনের কার্যকলাপই বলে দেবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিতে চান, করুন আবেদন

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সময় বৃদ্ধির আবেদন শেষ হবে আগামীকাল রোববার (২০ এপ্রিল)। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। গত ২৫ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত আছে।  

এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু ও আবেদন জমার দিন পেছানো, নতুন ২টি কলেজ যুক্ত এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা সংশোধনী আনা হয়েছিল।  

আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩১ মার্চ ছিল আবেদনের সময়। আগে আটটি কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হতো। পরে নতুন দুটি কলেজ যুক্ত হয়েছে। এ জন্য আসন ২৪০টি বেড়েছে।

নতুন দুটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলো মাদারীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এ দুটি কলেজে ১২০ জন মোট ২৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পরিচালিত। দেশের ১০টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নেওয়া হবে শিক্ষার্থী ভর্তি। এসব কলেজে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। পড়াশোনা শেষে টেক্সটাইল মিল, কারখানা, বায়িং হাউস, মানবসম্পদ, ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিপণন—সবখানেই টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনস্কুলে দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়াশোনা শিকেয় ওঠে৪ ঘণ্টা আগে

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যে, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা কাপড় বানানো শেখানো হয়। আসলে এ বিষয়ের সঙ্গে কাপড় বানানোর সম্পর্ক তেমন নেই। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মূলত টেক্সটাইলের মৌলিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। তন্তু থেকে কাপড় বানানোর উপযোগী সুতা তৈরি, কিংবা একটি ফেব্রিককে আরামদায়ক করার জন্য যেসব পদ্ধতি রয়েছে, সেসব বিষয়ও পড়ানো হয়। অদাহ্য, তাপরোধী, রাসায়নিকরোধী কিংবা পানিরোধী ফেব্রিকের সম্ভাবনা ও ব্যবহার-এই সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এটি শুধু প্রকৌশল নয়, দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাক থেকে শুরু করে বিশেষায়িত (যেমন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের জন্য জ্যাকেট কিংবা মহাকাশচারীদের স্যুট) সবকিছুই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর ৮০০ কোটির বেশি মানুষের জন্য এই বিশাল টেক্সটাইল খাতের জোগান দিতে গিয়ে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, সেটা প্রতিরোধ করাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ। নিত্যনতুন ডিজাইনের ফ্যাশন উদ্ভাবন থেকে শুরু করে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা তৈরি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা-সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।

১০টি কলেজ হলো—

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ, মিরসরাই, চট্টগ্রাম  

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী

শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সি অ্যান্ড বি রোড, বরিশাল

শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সদর, ঝিনাইদহ

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর

শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ এবং

শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুরে

মাদারীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবচর, মাদারীপুরে

সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সিলেটে

মোট আসন–

প্রতিটি কলেজে ১২০ জন করে ১০টি কলেজে মোট ১২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এসব কলেজের প্রতিটিতে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল এড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করণীয় ও সতর্কতা৩ ঘণ্টা আগে

আবেদনের যোগ্যতা—

১.
প্রার্থীকে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩ বা ২০২৪ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫ স্কেলে জিপিএ কমপক্ষে ৪ পেয়ে পাস হতে হবে। অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।

২.
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৮ পেতে হবে।

৩.
আবেদনকারীকে এইচএসসি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ ও রসায়নে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে এবং ইংরেজিতে ৩ গ্রেড পয়েন্টসহ উল্লিখিত বিষয়ে মোট গ্রেড পয়েন্ট কমপক্ষে ১৪ থাকতে হবে।

আবেদন ফি
১০০০ টাকা।

আবেদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—

আবেদন ও পরীক্ষার ফি জমা শুরু: ১৭ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে

আবেদন শেষ: আগামী ২০ এপ্রিল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত

প্রবেশপত্র ডাইনলোড শুরু: আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে

প্রবেশপত্র ডাইনলোড শেষ: আগামী ৯ মে, রাত ১২টা পর্যন্ত। রঙিন প্রিন্ট নিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা: ১০ মে (শনিবার)। সকাল ১০টায় শুরু হবে পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা: ১৩ মে তারিখের মধ্য বস্ত্র অধিদপ্তরের ও কলেজগুলোর ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ড।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়

গণিত ৬০, পদার্থবিজ্ঞান ৬০, রসায়ন ৬০, ইংরেজি ২০–সহ মোট ২০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। ১০০ প্রশ্নের প্রতিটির মান ২ করে। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫ নম্বর করে কাটা যাবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেখুন এখানে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
  • মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • যমুনা ব্যাংকের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
  • আমি এভাবে কী করে বাঁচব-ড্রোন হামলায় দুই হাত হারানো গাজার শিশুর জিজ্ঞাসা
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
  • ৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা
  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, সামান্য ত্রুটির তাৎক্ষণিক সমাধান
  • ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিতে চান, করুন আবেদন