ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, “চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী অথবা অবৈধ কোনো কাজ করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে হবে। জনগণকে একটি স্থিতিশীল ও স্বস্তিকর আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।”

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। কোনো সন্ত্রাসী আইনের আওতা থেকে রক্ষা পাবে না। সে পিচ্চি হেলাল হোক, ইমন হোক। তাদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

চুরি করতে দেখে ফেলায় ওহাব মাতুব্বরকে হত্যা: পুলিশ

বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

“কোনো চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের ঠিকানা এ দেশে হবে না। পুলিশ তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবিপুলিশ।”

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে আমি ব্যক্তিগতভাবে রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। যতদিন কাজ করব ততদিন দেশ ও জনগণের সেবার মানসে থাকব। অন্যায়ের কাছে কোনোদিন মাথা নত করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। আমার হারানোর কিছু নেই। দীর্ঘ ১৮ বছর পুলিশে যে অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছিলাম তা থেকে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আমাদের মুক্ত করেছে। এজন্য ছাত্র-জনতার কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ।” 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিবির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার সৈয়দ হারুন অর রশীদ, গোয়ন্দা উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, তেজগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিজানুর রহমান এবং ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

হেলাল ও সানজিদুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সর্বশেষ সানজিদুলকে এলিফেন্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় এক নম্বর আসামি করা হয়।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ