দল না পাঠালেও পাকিস্তানে যাচ্ছেন রোহিত?
Published: 14th, January 2025 GMT
নানা দেন-দরবার শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হাইব্রিড মডেলে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পিসিবি শুরুতে চেয়েছিল পুরো আসর পাকিস্তানে আয়োজন করতে। কিন্তু বিসিসিআই পাকিস্তানে নিরাপত্তা অজুহাতে দল পাঠাতে রাজি হয়নি। তারা গো ধরেছিল হাইব্রিড মডেলের।
পরে পিসিবি নতুন শর্তারোপ করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হলে পাকিস্তানও পরবর্তী ৩ বছরে কোন টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে যাবে না। ওই শর্তে আবার ভারত শুরুতে রাজি ছিল না। তবে পরবর্তীতে রাজি হয়েছে।
এখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচসহ রোহিত শর্মার দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে। ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে না গেলেও দলটির অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাময়িক সময়ের জন্য পাকিস্তানে যেতে হতে পারে।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের আগে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করতে হয়। এটা আইসিসির একটা নিয়ম। ওই নিয়ম রক্ষা করার জন্যই পাকিস্তানে যেতে হতে পারে রোহিতকে। অবশ্য আইসিসি, পিসিবি ও বিসিসিআই এই বিষয়ে নতুন কোন সমাধানও বের করত পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু, পরবর্তী শুনানি রোববার
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এর মাধ্যমে আলোচিত এ ঘটনার বিচার শুরু হয়।
আজ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন চার আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুর। ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। তিনি শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি শেষে এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও অন্যান্য নথির ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে আদালতে শুনানি, চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর ১০ মার্চ ২০২৫শুনানি শেষে কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের স্বার্থে বিচারক আসামিদের বলেছেন, তাঁরা চাইলে নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। আইনজীবী নিয়োগ করতে হলে কারাবিধি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করছেন কি না, বিচারক জানতে চাইলে আসামিরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। এর আগে ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, ৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামির রিমান্ডের আবেদন, আদালতের ফটকে বিক্ষোভ০৯ মার্চ ২০২৫তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে বাদীর এজাহারে কিছু অমিল রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ঘটনা ঘটেছিল রাতে এবং শিশুটির স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তার বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। গত ১ মার্চ শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে করে মরদেহ মাগুরায় আনা হয়। জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে তাঁরা সবাই কারাগারে।
আরও পড়ুনমাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে: আইজিপি১৩ মার্চ ২০২৫