দল না পেয়ে ক্ষোভে চিরতরে পিএসএল বর্জনের ঘোষণা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের
Published: 14th, January 2025 GMT
ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে আলোচনায় এসেছিলেন। ২০২৩ সালের পিএসএলে অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটিয়ে ইহসানউল্লাহ জায়গা পান জাতীয় দলে। তবে সে বছরের এপ্রিলেই পড়েন চোটে। এরপর থেকেই ইহসানউল্লার দুনিয়া অন্যরকম!
ভুল চিকিৎসা, কাছের লোকদের দূরে সরে যাওয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ পিএসএলে কোনো দল না পাওয়া—এভাবেই চলছে তাঁর জীবন। কাল দল না পেয়ে রাগে ক্ষোভে পিএসএল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার।
২০২৩ সালের পিএসএলে মুলতান সুলতানের হয়ে ইহসানউল্লাহ ১৪ ম্যাচে উইকেট পান ২৩ টি। বল করেন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে। তাতে হুট করেই ২০২৩ সালের এপ্রিলে নিয়ে আসা হয় জাতীয় দলে। তবে চোট থেকে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাল না কোনো দল।
উইকেট পেয়ে এভাবেই উদ্যাপন করতেন ইহসানউল্লাহ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রপ্তানি হতে পারে সুগন্ধি চাল
ফের সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় উৎপাদন ও চাহিদা পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় চালের মজুত বিবেচনায় সুগন্ধিসহ সব ধরনের চাল রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৯ জুন সুগন্ধি চাল রপ্তানি সাময়িক স্থগিত করা হয়।
এরপর রপ্তানিকারকদের অনুরোধে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পুনরায় সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগে অনুমোদন পাওয়া ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ২৪৪ টন সুগন্ধি চাল ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তিন মাস না যেতেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আবার সুগন্ধি চাল রপ্তানি ফের বন্ধ করা হয়।
রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ায় চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালসহ খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক ও কন্টেইনার বন্দর থেকে ফেরত আনতে হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। রপ্তানিকারকরা বলে আসছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়াই হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর সুগন্ধি চাল আবার রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করে। কমিশন জানায়, গত কয়েক বছর ধরে সুগন্ধি চালের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় রপ্তানি বহুমুখীকরণের স্বার্থে দেশীয় চাহিদার অতিরিক্ত চাল ‘কেস টু কেস’ ভিত্তিতে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান সমকালকে বলেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সুগন্ধি চালের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তার তেমন একটা সম্পর্ক নেই। উৎসব-পার্বণে এই চাল ব্যবহার করা হয়। এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে চার কেজি মোটা চাল আমদানি করা যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এ চালের চাহিদা রয়েছে।