বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (বিএলএসডিসি) ও ফ্রেন্ডশিপ প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিএলএসডিসির মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএলএসডিসির ইনচার্জ মেজর মো. গোলাম হায়দার (অব.

)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, এডুকেশন প্রোগ্রাম, রেজা আহমেদ।

শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মো. শাহিন আলম বলেন, বসুন্ধরা ও ফ্রেন্ডশিপকে ধন্যবাদ জানাই। তিন মাসের ইলেকট্রনিকস প্রশিক্ষণ শেষে এখন আমি এই সার্টিফিকেট ও অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারব। আরেক শিক্ষার্থী মো. রাসেল জানান, আমি ফ্রিজ মেরামতের কাজ শিখেছি। এখানকার শিক্ষকরা হাতে-কলমে আমাদের কাজ শিখিয়েছেন।

প্রধান অতিথি রেজা আহমেদ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ ও ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রশিক্ষণের গুণগত মান প্রশংসনীয় এবং এটি তরুণদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ফ্রেন্ডশিপ প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. অলিভ হুসাইন এবং শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে তাদের দক্ষতা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ