নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন। 

এদিন দুপুরে নিশিকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। রিমান্ড শুনানিকালে তাকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়। আদালতে ওঠার সময় লিফটের সামনে নিশি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা আসবে। জয় বাংলা। আমাকে একা গ্রেপ্তার করতে পারেন, বাকিদের কী করবে?’’ 

এরপরই লিফটের সামনে থাকা আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের আলোচিত এই নেত্রী। এ সময় তাকে লিফটে উঠতে বাধা দেন আইনজীবীরা। পরে তাকে সিঁড়িতে করে আদালতের ৯ তলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর

পাবনায় হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, নিশিকে মারধর করা হয়েছে। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামানোর সময় নিশি বলেন, ‘‘এত ওপরে আমাকে হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’

এর আগে, সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে নিশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে

বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে চলছে মামলার শুনানি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অবহেলা ছিল চিকিৎসকদের, তা খতিয়ে দেখছেন আদালত। কিংবদন্তির শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন চিকিৎসক, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগে চলছে বিচার কার্যক্রম।

বাদীপক্ষ ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার হয়ে আদালতে লড়ছেন আর্জেন্টাইন আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো। এক টিভি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘পশুর সঙ্গে যেমন আচরণ করে, ডিয়েগোর সঙ্গে সেটাই করা হয়েছে। আদালতে যা কিছু দেখা গেছে, সেটাই প্রমাণ করে।’

আরও পড়ুনমেসির দেহরক্ষীকে নিষেধাজ্ঞা৪ ঘণ্টা আগে

আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল এলত্রেসে প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘লা নোচে দে মিরথা’য় বার্লান্দো ব্যাখ্যা করেন, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছিল—এটা প্রমাণ করাই তাঁর আইনি দলের লক্ষ্য, ‘অবহেলার বিষয়টি আমরা আগেই পেরিয়ে এসেছি। এখন তা বিচারিকভাবে প্রমাণের চেষ্টা করছি।’

এই পৃথিবীতে ডিয়েগোর অনুপস্থিতিতে লাভটা তৃতীয় পক্ষের, যারা তাঁর উত্তরাধিকার নয়। কিছু লোক আছে, যারা কিছু সন্দেহজনক চুক্তিপত্র সইয়ের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর পরও লাভবান হচ্ছে, এমনকি তাঁর ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে।ফের্নান্দো বার্লান্দো, ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার পক্ষের আইনজীবী

বার্লান্দোর দাবি, পরিকল্পনা করে ছিয়াশির বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসাজনিত অবহেলা তাঁর মৃত্যুর কারণ নয়, ‘আমি একমত, কোনো সন্দেহ নেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী ও সঞ্চালক মিরথা লেগ্রান্দ আইনজীবী বার্লান্দোর কাছে জানতে চান, ম্যারাডোনাকে মৃত্যুমুখে পতিত করা হয়েছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে?’ বার্লান্দোর উত্তর, ‘ম্যারাডোনার মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আটজন ইচ্ছাপ্রসূত হত্যার দায়ে জড়িত। কেউ যখন সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, এ ক্ষেত্রে যেটা মৃত্যু এবং তাদের আচরণে মনে হয় কিছুই হয়নি, তখন এটা হত্যা।’

ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে