বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ বলেছেন, অনেকেই বলেন, নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আমার প্রশ্ন, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না, কে যাবে?’’

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হলে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে বিএনপি। এদেশের জনগণ যখনই সুযোগ পেয়েছেন, ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। আবারো দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবেন।’’

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অনেকটা বেটার’: ফখরুল

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি 

হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের একমাত্র দাবি ছিল, শেখ হাসিনার পতন। শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ডানা মেলে ধরা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্য থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ বলা হচ্ছে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রর বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। যারা বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করেছে, তাদের বিচার চলছে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত যে সরকার আসবে, তারাও তাদের বিচার করবে। তাই, এই বিচার-কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই।’’

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। 

বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো.

রহমতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আলহাজ ভিপি ইব্রাহীম, তাঁতী দলের ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, পল্টন থানা বিএনপির ফিরোজ আলম পাটোয়ারী প্রমুখ।

ঢাকা/নাজমুল

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ নিয়ে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য নিয়ে যা বলছেন জামায়াতের আমির

ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ সোমবার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। গতকাল রোববার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। এতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের চ্যালেঞ্জ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়সহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন।

নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই পোস্টে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ভারতের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত নাক গলানোর মতো কথা বলেছেন। জানি না তাঁর বিবেক কোথায়? বাংলাদেশকে সহনশীলতার সবক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি যে দেশে এবং সমাজে বসবাস করেন, সেই সমাজের আয়নায় নিজেকে দেখার চেষ্টা করুন।’

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ টানা সাড়ে ১৫ বছর সেক্যুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতা) নামে চরম ভন্ডামি প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে খোলামেলা ওকালতি করছেন, যা বিস্ময়কর, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।

পোস্টে জামায়াতের আমির বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যা বলেছেন, তাঁর বদ্ধমূল ধারণা থেকে বলতে চেয়েছেন। বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যালঘু বলে তিনি (অমর্ত্য সেন) যাঁদের চিহ্নিত করেছেন, সেসব ভাই-বোনদের ওপর নির্যাতনকারী দানবের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাহস থাকলে তা বলে দিন। পারবেন না। কারণ, আপনারা সীমাবদ্ধ সুশীল।’

জামায়াতের আমির বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সময়-অসময়ে নাক গলানো দেশপ্রেমিক জনগণ একেবারেই পছন্দ করেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক দল, কর্তৃত্বপরায়ণতা ও নতুন বন্দোবস্ত
  • নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করে ইইউ: হাদজা লাহবিব
  • আপনারা সীমাবদ্ধ সুশীল, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো পছন্দ নয়
  • বাংলাদেশ নিয়ে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য নিয়ে যা বলছেন জামায়াতের আমির
  • ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান ইমরান
  • ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এবি পার্টির নেতাদের মতবিনিময়
  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে
  • ‘এ’ ক্ষমতা থেকে চলে গেছে, মনে হয় ‘বি’ ক্ষমতায় বসেছে: মাহমুদুর রহমান মান্না
  • নেতারা দেশে গণতন্ত্র চান, দলে চান না