আসিফের নির্দেশনায় নারী দলের সফর থেকে বাদ সরকারের দুই প্রতিনিধি
Published: 14th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের খরচের ভার বহন করার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপর। সংশ্লিষ্ট মণত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্দেশে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। তিনি বলেন, “এটা আমাদের নজরে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা হচ্ছে যখন কোনো ফেডারেশনের টিম বিদেশে যাবে, যারা পেশাদার তারাই যাবে। পেশাদার সম্পৃক্ত যারা তাদের বিদেশে পাঠাতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে দুজন কর্মকর্তা অন্তর্ভূক্ত ছিল তাদের বাদ দিয়ে আমরা নতুন করে পাঠিয়ছি।”
প্রত্যেকটা সফরের আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সরকারি অনুমতি (জিও) নিতে হয়। সেই হিসেবে নারী দলের জন্য ৩০ সদস্যের জিও নেওয়া হয়। সেখানে নাম ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ক্রীড়া-১ অনুবিভাগ) ড.
আরো পড়ুন:
মতের অমিলে দ্বন্দ্ব ফারুক-ফাহিমের
এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের জন্য বিসিবির পুরস্কার ঘোষণা
এই দুজনকে বাদ দিয়ে ইতিমধ্যে নতুন করে জিও পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিসিবির সফরে কিভাবে তারা যুক্ত হলেন এমন প্রশ্ন জাহেদী রাইজিংবিডিকে বলেন, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রত্যেকটা ফেডারেশনের ওয়াচডগ। তাদের সহায়তা করার জন্য সেটা দেওয়া হয়েছিল”
বিসিবি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ক্রিকেট দলের সঙ্গে এমন কেউ যুক্ত হতে পারেন কী না এমন প্রশ্নে জাহেদী বলেন, “স্বায়ত্বশাসিত হলেও প্রত্যেকটা ফেডারেশনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এখতিয়ারাধীন। আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাদ দিয়েছি।”
এদিকে বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য, “একটা চিঠি এসেছে মন্ত্রণালয় থেকে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ আসলে বাস্তাবিয়ত করতে হবে। নির্দেশ আসলে আমাদের মানতে হবে। বিসিবি এটা চায়নি, এটা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠিয়েছে।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ৫টি ইসলামি দল
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেবে কওমি সমর্থিত পাঁচটি ইসলামি দল। দলগুলো হলো— চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস অপর অংশ ও মুফতি ইজহারের নেজামে ইসলাম পার্টি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসে ৫টি ইসলামী দলের এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সভায় অন্য চার দলের নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি হজরত মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি।
সভায় সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ শেষে নির্বাচনসহ ৫টি বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়—
১. নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা এগিয়ে নেওয়া।
২. আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামি কল্যাণরাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যাতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।
৩. ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।
৪. প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান।
৫. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এবং মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, খেলাফত মজলিস অপর অংশের পক্ষে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, যুগ্মমহাসচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হুসেন এবং উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলী হাসান উসামা এবং নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী,অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ