শীতকালীন দলবদলের বাজারে নতুন ঠিকানায় যোগ দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এই ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড ও রাইট ব্যাকে খেলতে পারা হামজাকে দলে নিতে আগ্রহী চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেড।

সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ডে হামজার ধারে খেলার চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। লেস্টারের নতুন ডাচ কোচ ফন নেস্তেলরয় জানুয়ারির দলবদলে নতুন রাইট ব্যাক নিতে চান। ক্লাবের ওপর থেকে বাড়তি বেতনের চাপ কমাতে ধারের শর্তে লেস্টার ছাড়তে চান হামজা।

শর্ত ধারের হলেও গত মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া হামজার সামনে শেফিল্ডে স্থায়ী চুক্তির সুযোগও থাকছে। তিনিও নিয়মিত ম্যাচ খেলতে চান। যে কারণে শেফিল্ডের সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবছেন। কারণ চলতি মৌসুমে হামজা লেস্টারের হয়ে মাত্র চারটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অন্য প্রতিযোগিতায় দু’বার মাঠে নেমেছেন। সব মিলিয়ে মৌসুমের প্রথমার্ধে মাত্র ১৩১ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

হামজা চৌধুরী ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে লেস্টার সিটির সঙ্গে আছেন। তবে প্রথম দুই মৌসুমে তিনি ধারে ব্রাইটন এন্ড হোব আলবিয়নে খেলেছেন। পরের দুই মৌসুমে লেস্টারে যথাক্রমে ৯ ও ১২টি করে ম্যাচ পান। ২০১৯-২০ মৌসুমে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। ওই মৌসুমে ২৯ ম্যাচে লেস্টারের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ পান। পরের মৌসুমে লেস্টার তাকে ২২ ম্যাচে সুযোগ দেয়।

তবে ২০২১-২২ মৌসুমে পড়তি ফর্মের কারণে ১২ ম্যাচ খেলে ওয়ার্টফোর্ডে ধারে যোগ দেন। ২০২৩-২৪ মৌসুমে লেস্টার অবনমনে ছিল। ওই মৌসুমে ৪১ ম্যাচ খেলেন হামজা। লেস্টারকে প্রিমিয়ার লিগে ফেরাতে বড় ভূমিকা ছিল তার। হামজা ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ