রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের শৌচাগারে পড়ে ছিল মা-মেয়ের লাশ, দরজা ভেঙে উদ্ধার
Published: 14th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে এপিবিএন পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এফ-৭৫ ব্লকের একটি শৌচাগার থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা ও মৃত রশিদ আহম্মদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) ও তাঁর মেয়ে সুবাইদা বিবি (১৮)।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বরাতে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো.
মমতাজ ও সুবাইদা বেশ কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া, জ্বর ও গলার ব্যথায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন মমতাজের ছেলে নুরুল ও রবিউল। তবে মৃত্যুর যথাযথ কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন বলেন, মমতাজ বেগমের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে সুবাইদার কপালে লালচে দাগ, গলায় সামান্য দাগ ও কানের পেছনে সামান্য রক্ত দেখা গেছে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড, তা জানতে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।