পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুত’ বৈঠক করবেন ট্রাম্প
Published: 14th, January 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের আয়োজন চলছে। গতকাল সোমবার বলেছেন, আগামী সপ্তাহে শপথ গ্রহণের পর খুব দ্রুত তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।
২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পর খুবই দ্রুত তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা বললেও ওই বৈঠক ঠিক কবে নাগাদ হতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক হলে সেটা হবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ দুই নেতার প্রথম বৈঠক। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। ক্ষমতায় গেলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন, এবারের নির্বাচনী প্রচারের সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ কথা বলে গেছেন ট্রাম্প।
কোন কৌশলে ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প নিউসম্যাক্সকে বলেন, ‘দেখুন, সেখানে কেবল একটি কৌশলই আছে এবং সেটা পুতিনের ওপর নির্ভর করছে। এই যুদ্ধ যেভাবে চলছে, সেটা নিয়ে পুতিন খুবই রোমাঞ্চিত হয়ে আছেন, এমনটা আমি কল্পনা করতে পারছি না। কারণ, এমনকি তাঁর জন্যও এই যুদ্ধ ঠিকঠাকমতো চলছে না।’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, পুতিনও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব দ্রুত দেখা করতে চলেছি। আমি যত দ্রুত সম্ভব এটা করব.
ট্রাম্পের মতো একই কথা বলেছেন তাঁর বেছে নেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। গত রোববার তিনি বলেছিলেন, আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ প্রত্যাশা করছেন।
১৯৬২ সালে কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েই প্রথম মস্কো এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের এতটা অবনতি হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ