নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে ডাকাতির পর গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহাদেবপুরে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে ডাকাত দল। তারা বাড়ি থেকে টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার লুটের পর বাড়ির এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে তিনজনকে ও পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে মহাদেবপুর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন জেলার মান্দা উপজেলার চকজামদই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে পচা (২৯), একই গ্রামের তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর গ্রামের সোলাইমান আলী (৩৮), জিনারপুর গ্রামের রিপন আলী (৩০), গৌড়রা বৌদ্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), চকন্দর্পপুর গ্রামের সাগর হোসেন (১৯) ও বন্দীপুর গ্রামের রুবেল সরদার (২৮)। তাঁদের শরিফুল ও ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সাগর, তারেক ও রিপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, একদল ডাকাত গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার একটি বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঢোকে। তারা প্রথমে বাড়ির সদস্যদের হাত-পা, মুখ বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল লুট করে। যাওয়ার সময় ওই বাড়ির এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে একটি খোলা মাঠে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়।

মহাদেবপুরে ডাকাতির পর গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার দুপুরে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ