চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এছাড়া এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমীনও খালাস পেয়েছেন। এই মামলায় পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর এবং আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

আসিফ ইমরান জিসান। আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।

আরো পড়ুন:

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চিন্ময়কাণ্ডে আসামি হওয়া ৬৩ আইনজীবীর জামিন

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে বন্দরনগরীর কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ

রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন থেকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।

গতকাল বুধবার আদালত চত্বরে গিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় নির্বাচন বাতিল না করলে বার কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আজ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

সূত্র জানায়, নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বাচ্চু-হাকিম-রাজ্জাক প্যানেলে বিএনপিপন্থি ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা রয়েছেন। সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে আনিছ-সাত্তার-রোকন প্যানেলে রয়েছেন আওয়ামীপন্থি ও সাধারণ আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা। 

গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আওয়ামীপন্থি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বহিষ্কার ও নির্বাচন বাতিল করতে ব্যবস্থা গ্রহণের আলটিমেটাম দেন। নির্বাচন বাতিল করা না হলে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা দেন তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী অশোক কুমার সাহা বলেন, আন্দোলনকারীরা বলছে– কোনো ফ্যাসিবাদ যেন নির্বাচন না করে। আমাদের আইনজীবীদের নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের কোনো বিষয় নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাইতে হাসপাতালে ভর্তি
  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • সাবেক এমপিসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট