দুয়ার সার্ভিসেসের কিউআইওর চাঁদাগ্রহণ স্থগিত
Published: 14th, January 2025 GMT
পুঁজিবাজারের এসএমই খাতে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) সাবস্ক্রিপশন বা চাঁদা গ্রহণ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৩৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ২৭ এপ্রিল কিউআইওর মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য কমিশনে আবেদন করে দুয়ার সার্ভিসেস। এরপর গত জুনে বিএসইসির ৯১১তম সভায় দুয়ার সার্ভিসেসকে শর্তসাপেক্ষে অভিপ্রায়পত্র (লেটার অব ইন্টেন্ট) এবং ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৩৪তম সভায় কোম্পানিটিকে সম্মতিপত্র (কনসেন্ট লেটার) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কিউআইও অফারের শেয়ার বরাদ্দের জন্য চলতি বছরের ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে দুয়ার সার্ভিসেস।
তবে সম্প্রতি দুয়ার সার্ভিসেসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গ্রাহকের সেবা প্রদানসংক্রান্ত চুক্তি এবং কোম্পানির আয় ও মুনাফাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে; এসব বিষয় বিএসইসির নজরে এসেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিএসইসি বলেছে, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুয়ার সার্ভিসেসের সার্বিক বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কিউআইও সাবস্ক্রিপশন স্থগিত ও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জনে ঘুরে দাঁড়ালো সূচক
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২৭ এপ্রিল) সূচকের উত্থান হলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। টানা নয় কার্যদিবস পর ডিএসইতে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিকে সিএসইতে টানা ১০ কার্যদিবস সূচকের পতন হলো।
এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বড় পতন অব্যাহত ছিল। তবে হঠাৎ করে বাজারে গুঞ্জন উঠে- পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পদত্যাগ করতে সরকারের একটি মহল চাপ দিচ্ছে। এ কারণে তিনি বিএসইসি থেকে বেরিয়েও গেছেন। এমন খবরে ডিএসইর পতনমুখী সূচক হঠাৎ উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় ফিরে এসেছে।
আরো পড়ুন:
নেগেটিভ ইক্যুইটির প্রভিশনের সময়সীমা বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
কারণ ছাড়াই বাড়ছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২২.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৯৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৩৫টি কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৫.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬.৬৪ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৪৪ পয়েন্ট কমে ৮৯২ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৫৫.৯৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৭১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টি কোম্পানির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।
সিএসইতে ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারের হাল ধরেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। ওই দিন ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫৭৭৫.৪৯ পয়েন্টে। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং, বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৮০২.৯০ পয়েন্ট কমেছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল