সরকার আন্তরিক হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব: মজিবুর রহমান
Published: 14th, January 2025 GMT
সরকার আন্তরিক হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিন এ মন্তব্য করেন।
মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সময় সূচীর কথা বলা হয়েছে, একটি এ বছরের ডিসেম্বরে আরেকটি সামনের বছরের জুনে। আমরা বলছি, সংস্কারের কি রূপরেখা হচ্ছে, সংস্কারের গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এই সময় নির্ধারণ হবে।”
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, সরকার যদি আন্তরিক হয় এটা (নির্বাচন) ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব। সংস্কারগুলো করে একটা গণঐক্য বা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তা না হলে, আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এটা দুই-এক মাস পেছোলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম-সম্পাদক ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটূল, সিনিয়র সহকারী সম্পাদক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’