সরকার আন্তরিক হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিন এ মন্তব্য করেন। 

মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সময় সূচীর কথা বলা হয়েছে, একটি এ বছরের ডিসেম্বরে আরেকটি সামনের বছরের জুনে। আমরা বলছি, সংস্কারের কি রূপরেখা হচ্ছে, সংস্কারের গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এই সময় নির্ধারণ হবে।”

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, সরকার যদি আন্তরিক হয় এটা (নির্বাচন) ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব। সংস্কারগুলো করে একটা গণঐক্য বা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তা না হলে, আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এটা দুই-এক মাস পেছোলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম-সম্পাদক ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটূল, সিনিয়র সহকারী সম্পাদক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ