ওমরাহ যাত্রীদের যে ৫টি রোগের টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি সরকার
Published: 14th, January 2025 GMT
চলতি বছর ওমরাহ যাত্রীদের ৫টি রোগের টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরবের সরকার। এ রোগগুলো হলো মেনিনজাইটিস, পোলিও, ইয়েলো ফিভার (পীত জ্বর), করোনা এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে যে ৫টি রোগের বিপরীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সৌদির সরকার যেসব টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, দেশটিতে পৌঁছানোর আগে সেসব টিকা নিতে হবে যাত্রীদের। সূত্র : জিও নিউজ
আরও বলা হয়েছে, মেনিনগোকোকাল মেনিনজাইটিস, করোনা এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সব দেশের হজযাত্রীদের জন্য আবশ্যিক। এছাড়া পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তানের যাত্রীদের জন্য পোলিও এবং অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ার যাত্রীদের জন্য পীত জ্বরের টিকা বিশেষ ভাবে বাধ্যতামূলক।
পাশাপাশি ধনুষ্টংকার, হাম এবং অন্যান রোগের টিকার ডোজও সম্পূর্ণ করা ওমরাহে আসার জন্য বলা হয়েছে যাত্রীদের।
বিজ্ঞপ্তিতে ওমরাহ যাত্রীদের সবাইকে টিকা সংক্রান্ত সনদ নিজের সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব যাত্রী দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) অসুস্থতায় আক্রান্ত, তাদেরকে টিকা সনদের পাশাপাশি নিজেদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে বলেছে সৌদির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ
বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।
জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।
জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।
আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়।