চলতি বছর ওমরাহ যাত্রীদের ৫টি রোগের টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরবের সরকার। এ রোগগুলো হলো মেনিনজাইটিস, পোলিও, ইয়েলো ফিভার (পীত জ্বর), করোনা এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে যে ৫টি রোগের বিপরীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সৌদির সরকার যেসব টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, দেশটিতে পৌঁছানোর আগে সেসব টিকা নিতে হবে যাত্রীদের। সূত্র : জিও নিউজ

আরও বলা হয়েছে, মেনিনগোকোকাল মেনিনজাইটিস, করোনা এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সব দেশের হজযাত্রীদের জন্য আবশ্যিক। এছাড়া পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তানের যাত্রীদের জন্য পোলিও এবং অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ার যাত্রীদের জন্য পীত জ্বরের টিকা বিশেষ ভাবে বাধ্যতামূলক।

পাশাপাশি ধনুষ্টংকার, হাম এবং অন্যান রোগের টিকার ডোজও সম্পূর্ণ করা ওমরাহে আসার জন্য বলা হয়েছে যাত্রীদের।

বিজ্ঞপ্তিতে ওমরাহ যাত্রীদের সবাইকে টিকা সংক্রান্ত সনদ নিজের সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব যাত্রী দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) অসুস্থতায় আক্রান্ত, তাদেরকে টিকা সনদের পাশাপাশি নিজেদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে বলেছে সৌদির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ