বগুড়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর স্ত্রী মোহসীনা আকতারের বগুড়ার বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি হিসাবে থাকা ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৭০৯ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় থাকা ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ১১২ দশমিক শূন্য চার শতাংশ জমি ও ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিনি ট্রাক ক্রোক করার আদেশও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক সিফাত উদ্দিন ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ ক্রোক করার আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। 

আবেদনে বলা হয়, মোহসীনা আকতার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক দুদকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেন। শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর অবৈধ উপায়ে অর্জিত ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মোহসীনা আকতার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে জারনা গেছে। এ জন্য বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে মোহসীনা আকতারের মালিকানাধীন বিভিন্ন সম্পদের মধ্যে আপাতত এসব সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ