রহস্যময় বলের কারণে সিডনিতে বন্ধ ৯ সৈকত
Published: 14th, January 2025 GMT
সমুদ্র থেকে ভেসে আসছে ছোট আকারের সাদা ও ধূসর রঙের বল। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ৯টি সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সৈকতগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নর্দান বিচ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সৈকতে ভেসে আসা বস্তুগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে।
বল আকৃতির ওই বর্জ্যগুলোর বেশির ভাগই আকারে মার্বেলের সমান। তবে কয়েকটি কিছুটা বড় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সোনালি রঙের বালু আর স্বচ্ছ পানির কারণে সিডনির সৈকতগুলোর খ্যাতি জগৎজোড়া।
যে সৈকতগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো ম্যানলি, ডি হোয়াই, লং রিফ, কুইন্সক্লিফ, ফ্রেশওয়াটার, নর্থ অ্যান্ড সাউথ কার্ল কার্ল, নর্থ স্টেইনি ও নর্থ নারাবিন সৈকত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রমণকারী ও স্নানপিপাসুদের এই সৈকতগুলো এড়িয়ে চলতে এবং ভেসে আসা বর্জ্যের স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ভেসে আসা বর্জ্যগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনসৈকতে ‘রহস্যময়’ কালো বল১৮ অক্টোবর ২০২৪এর আগে গত বছর অক্টোবরে সিডনির বিখ্যাত বন্ডি সৈকতসহ আরও কয়েকটি সৈকতে কয়েক হাজার কালো রঙের রহস্যময় বল ভেসে এসেছিল।
পরে পরীক্ষায় জানা যায়, ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে ওই বলগুলো তৈরি হয়েছে। প্রসাধনী ও পরিষ্কারক পণ্যে এ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চুল, উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য উপাদান। বর্জ্যপানিতে এসব উপাদান মিলেমিশে কালো রঙের বলের আকার নিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে নিজ আইনজীবীর ওপরে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাজী সেলিম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাকে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখান। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি আইনজীবীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে আইনজীবী তাকে বুঝিয়ে স্বাক্ষর করান।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, ‘আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান ওমর। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।