‘ভুল ইংরেজি’ বলে ধরা খেলেন ভুয়া চিকিৎসক
Published: 14th, January 2025 GMT
রোগী দেখতে গিয়ে ‘ভুল ইংরেজি’ বলে ডালিয়া (৩২) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক ধরা পড়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তাকে আটক করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক রিাইজিংবিডিকে বলেন, “বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ডালিয়া নামে একজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।”
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলায় এক রোগীকে আত্মীয় বানিয়ে চিকিৎসা দিতে আসেন এক নারী। ওই সময় ওয়ার্ডের চিকিৎসকরদের সন্দেহ হলে তাকে ধরে ক্যাম্প পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান বলেন, “আমার বাসা কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া এলাকায়। এক বছর ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি ডাক্তার সালমা আমানের অধীনে । তখন থেকেই ডালিয়া আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। তবে তিনি আমাদের কাছেও পরিচয় দেন তিনি এখানকার ডাক্তার। আজকে জানলাম তিনি ডাক্তার না।”
তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে ফলোআপে আসি বার্ন ইউনিটে। সেখানে আমাদের সঙ্গে ডালিয়া ছিলেন। ডাক্তার সালমা আমান চিকিৎসার বিষয়ে ইংরেজিতে কথা বললে ডালিয়া ভুল উত্তর দেন। তখন তাকে সন্দেহ হলে ভুয়া ডাক্তার বলে পুলিশে দেন।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের দায়িত্বরত সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, “এক তরুণীকে এপ্রোন পরা ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ডাক্তার পরিচয় দিলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর এই হাসপাতালের নাক-নাক-গলা বিভাগ থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্না (২২) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়েছিল।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’