সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ও তার ছেলে জাকির হোসেন জুমনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম তাদের

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। 

আবেদনে বলা হয়, শাহাব উদ্দিন ও তাতার ছেলে জাকির হোসেন জুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে শাহাব উদ্দিন ও ও তার ছেলে জাকির হোসেনের বিদেশ যাওয়া রোধ করা প্রয়োজন। এতে কমিশনের অনুমোদন রয়েছে।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাহাব উদ্দিন।

১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-১ থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। 

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজতি হন। এরপর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নবম সংসদে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি হুইপ হিসেবে এবং একইসাথে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকার কমিটি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন্স অব পার্লামেন্টারিয়ান অন পপুলেশন এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিএপিপিডি), নিরাপদ মাতৃত্ব ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন বিষয়ক সাব-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে পড়লেন মার্শ

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলটা নিশ্চিতভাবেই অন্যতম ফেবারিট হিসেবে যাচ্ছে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তবে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরটির আগে ঝামেলা পিছু ছাড়ছে না অজিদের। দলের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চোটাক্রান্ত। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। এবার অজিদের জন্য ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের ছিটকে পড়টা। ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

মার্শের সামনে সুযোগ ছিল সাদা বলের ক্রিকেটে, আইসিসির সব ধরনের বৈশ্বিক আসর জয়ের অসাধারণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার। তবে চোটের কারণে এবার অন্তত সেটা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গিয়েছে পিঠের নিচের অংশের চোটে ভুগছেন এই ৩৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। সুনির্দিষ্ট করে চোটের ধরণ জানায়নি সিএ।

সিএ-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া জাতীয় নির্বাচক প্যানেল এবং চিকিৎসকরা মিচেল মার্শকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চোটের কারণে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা মার্শের শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি তার পিঠের নিচের অংশে ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্বাচক প্যানেল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তাকে পুরোপুরি সেরে ওঠার সুযোগ দিতে পুনর্বাসনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মার্শের জায়গায় দলে কে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্বাচক প্যানেল বৈঠক শেষে যথাসময়ে ঘোষণা করবে।”

আরো পড়ুন:

তবু আফসোস নেই শরিফুলের

রঞ্জিতে বিরাটের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে রাত ৩টা থেকে লাইন  

এদিকে ক্রিকইনফো দাবি করছে মার্শের এবারের ক্রিকেট মৌসুম শেষ। ক্রিকেটভিত্তিক সাইটটি আরও জানায় অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা এখন যদি মার্শের পরিবর্তে কোন ব্যাটসম্যানকে বেছে নেন, তাহলে সেটা হতে পারে জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, যদিও তিনি সম্প্রতি ভালো ফর্মে নেই। তবে তার খেলায় আগ্রাসী মনোভাব রয়েছে, যা মার্শের মতোই। অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ব্যাটিং বিকল্প ইতোমধ্যেই আছে, তাই নির্বাচকরা অলরাউন্ডারও বেছে নিতে পারেন। এমনটা হলে, টেস্ট দলে মার্শের জায়গা দখল করা বাউ ওয়েবস্টার ওয়ানডেতেও ডাক পেতে পারেন।

এদিকে আইপিএলের এবারের মৌসুমে মার্শের খেলা এখন অনিশ্চত। গত নভেম্বরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মেগা নিলামে তাকে ৩ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচটি হবে ২২ ফেব্রুয়ারি, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান। এর আগে শ্রীলঙ্কায় দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ