রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন ফিরে পেতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।

আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

গত ৩ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। 

এর আগে গত ২২ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়।

এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদের বৃহত্তর ঐক্য যেন নষ্ট না হয়: বাসস সম্পাদক

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন, “ছাত্রদের বৃহত্তর ঐক্য যেন নষ্ট না হয়। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো, ঐক্য ধরে রাখা।”

রবিবার (১৬ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘২৪ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ও পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা যেন ভুলে না যাই, কিভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হয়। আমরা এমন ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার ছিল না, স্বাধীনভাবে রাজনীতি, মিছিল-মিটিং করা যেত না। আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত—আমরা যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদী বা কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থায় ফিরে না যাই।”

তিনি আরো বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনেকেই অনেককিছু চায়। তাই বিভিন্ন জন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে, রাজপথে নামছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যারা কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করেছেন, তাদের মাঝেও এখন বিভাজন দেখা যাচ্ছে। এটি বাস্তব কারণ—একটি গণঅভ্যুত্থানের সময় সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষ তাদের মতাদর্শ নিয়ে এতে যুক্ত হয়। কিন্তু যখন অভ্যুত্থান সফল হয়, তখন প্রত্যেকেই দেশ গঠনের বিষয়ে নিজস্ব মতামত দিতে শুরু করে।”

মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “এটি স্বাভাবিক। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, এ দাবিগুলো জানাতে গিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা যেন বিনষ্ট না হয়। ঐক্যের প্রধান শিক্ষা হলো—পারস্পরিক বিভেদ ও মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।”

জবি প্রেসক্লাবের সভপতি সুবর্ণ আসসাইফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এর সম্পাদক মাহবুব রনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও প্রেসক্লাবের সাবেক ও বর্তমান নেতারা, ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরের ধাপ নিয়ে আলোচনা
  • কাস্টমস অফিসার মারুফের বিরুদ্ধে ফের ঝাড়ু মিছিল, স্মারকলিপি
  • ছাত্রদের বৃহত্তর ঐক্য যেন নষ্ট না হয়: বাসস সম্পাদক
  • গরম বাড়তে পারে
  • বাড়তে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা
  • রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া কোন দিকে যাচ্ছে
  • সোয়া ২ কোটি শিশুকে আজ খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল
  • আজ সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল
  • আজ সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল
  • নারীবিদ্বেষী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে