ঢাকা থেকে সিলেট ঘুরে বিপিএল এখন চট্টগ্রামে। ঢাকা ও সিলেটে রান–বন্যাই দেখেছে এবারের বিপিএল। লিটন-তানজিদের সেঞ্চুরিতে সিলেটে ঢাকা ক্যাপিটালস দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে রেকর্ডের পসরাই সাজিয়েছিল। ঢাকায় যখন এই দুই দলের দেখা হয়েছিল, সেই ম্যাচে বল হাতে আবার রেকর্ড গড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলা পেসার ৭ উইকেট নিয়ে গড়েন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের কীর্তি।

প্রথম ২০ ম্যাচ শেষে ব্যাটিংয়ে রানের হিসেবে সবার ওপরে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসান। ৬ ম্যাচে ৬ বার ব্যাট করে জাকিরের রান ২৫১। তিনটি ফিফটি পাওয়া ব্যাটসম্যান ভালোই অবদান রেখেছেন দলের দুই জয়ে। ১৪৯.

৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা জাকির মেরেছেন ১৪টি ছক্কা।

চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উসমান খানের চেয়ে ২ ম্যাচ বেশি খেলেও মাত্র ২ রানে এগিয়ে জাকির। উসমান ৪ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪৯ রান। স্ট্রাইক রেটও দারুণ তাঁর—১৭১.৭২। ঢাকা ক্যাপিটালসের দুই সেঞ্চুরিয়ান তানজিদ হাসান (২৪৬) ও লিটন দাসও (২৪০) আছেন শীর্ষ পাঁচে। লিটন ১৯৮ রানই করেছেন শেষ দুই ম্যাচে।

সংস্করণটি টি-টোয়েন্টি। তাই শুধু রান দিয়েই ব্যাটসম্যানদের বিচার করা যায় না এখানে। নুরুল হাসানের কথাই ধরা যাক। রান সংগ্রহে শীর্ষ ২৫-ও নেই রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক। তবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কার্যকর, সবচেয়ে বিধ্বংসী ইনিংসটা খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানই। সিলেটে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারটায় কী ব্যাটিং করেই না দলকে জেতালেন নুরুল। শেষ ওভারে দলকে জেতাতে দরকার ছিল ২৬ রান। কাইল মায়ার্সের করা ওভারে ৩টি করে চার-ছক্কায় নুরুল তুললেন ৩০ রান। সেদিন ৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত নুরুলের মোট রান ৯৯।

এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদই উইকেট শিকারে সবার ওপরে। ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়া পেসারের ইকোনমিও দারুণ—৬.৭২। উইকেটে শিকারে শীর্ষ তিনজনই পেসার। খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের তানজিম হাসান, দুজনই নিয়েছেন ১১টি করে উইকেট। ৯ উইকেট নিয়ে এরপরই আছেন দুই স্পিনার খুশদিল শাহ, মেহেদী হাসান ও ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা।

বোলিং তাসকিন ছাড়া আর কেউ ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি। ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান, নাহিদ রানা ও আবু হায়দার।

৪৫৭.১৪

নুরুলের ৪৫৭.১৪ স্ট্রাইক রেটের সেই ইনিংসই এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস। স্ট্রাইক রেটের হিসেবে খুলনা টাইগার্সের ১৮ বলের ফিফটির ইনিংসটি আছে এরপরই। মিরপুরে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ২২ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে মাহিদুলের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৮.১৮।

২১৯.২৩কমপক্ষে ১০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্ট্রাইক রেটে সবার ওপরে ঢাকা ক্যাপিটালসের সাব্বির রহমান।১৬সর্বোচ্চ ১৬টি করে ছক্কা মেরেছেন তিনজন—খুশদিল শাহ, ইয়াসির আলী ও  তানজিদ হাসান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এমনটা কেন, কতক্ষণ থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস

ঢাকার আকাশজুড়ে আজ সোমবার সকাল থেকেই ছিল মেঘের আনাগোনা। সকাল নয়টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এরপরই আবার রোদ ওঠে। ঘণ্টাখানেক বাদে রোদ সরে গিয়ে আকাশে মেঘের প্রত্যাবর্তন।

এখন দুপুর ১২টা পার হয়ে গেছে। এখনো আকাশজুড়ে কালো মেঘ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আবারও বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণেই এই বৃষ্টি।

আর এখন যে বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়া, তা মূলত কালবৈশাখী হিসেবেই চিহ্নিত হবে। কিন্তু কালবৈশাখী যখন হয়, তখন আকাশ কালো করে মেঘ আসে এবং একবারে বৃষ্টিও হয় অনেকটা। আজ এবং কয়েক দিন ধরেই রাজধানীতে তেমনটা হচ্ছে। বৃষ্টি অনেকটাই কম মেঘের তুলনায়। কেন এমন হচ্ছে, এর জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মেঘ আর বৃষ্টির লুকোচুরি খেলাটা হচ্ছে মূলত তাপমাত্রা যথেষ্ট না বাড়ার কারণে। তাপ বেশি থাকলে ক্রমান্বয়ে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘ ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সেটার অভাব আছে। কিন্তু এখন যেটি হচ্ছে,সেটি মূলত কালবৈশাখী।

আফরোজা সুলতানা জানান, শুধু ঢাকা নয়, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ভোলা, খুলনাসহ নানা স্থানে আজ বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়েছে। আর ঢাকায় এই মেঘ ও বৃষ্টি বিকেল পর্যন্ত চলতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়, ৫০ মিলিমিটার। এরপরই আছে নেত্রকোনা। সেখানে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়ার একটি দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়। এই মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, হালকা থেকে মাঝারি বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও তীব্র তাপপ্রবাহের সৃষ্টি এখনো হয়নি। এর মধ্যে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। তাতে তাপমাত্রা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না; বরং তা কিছুটা  বাড়তে পারে।

গত বছর ৩৫ দিন একটানা তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিশ্বের ৭৬ বছরের ইতিহাসে তেমনটা হয়নি। সে তুলনায় এবার তাপপ্রবাহ কিছুটা হলেও কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এমনটা কেন, কতক্ষণ থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস